দুর্গোৎসবের একটি বড় আকর্ষণ হল কুমারী পুজো। যা নিয়ে বাঙালিদের মধ্যে কৌতুহলের অন্ত নেই। সাধারণত অষ্টমী ও নবমী তিথিতে কুমারী পুজো হয়। দেবী পুরাণে কুমারী পুজোর সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত একবছর থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পুজোর উল্লেখ রয়েছে। এই করোনা আবহেও বেলুর মঠে অষ্টমী তিথিতে মহাধুমধামে হয়েছে কুমারী পুজো। এবার নবমী তিথিতে বিরাটিতে একেডি পরিবারের দুর্গোৎসবে অনুষ্ঠিত হল কুমারী পুজো। প্রতিবছরের মতো এবার নির্দিষ্ট রীতিনীতি মেনে হল কুমারী পুজো। তবে এবছরটা অনেকটাই আলাদা, করোনা আবহে চলছে পুজো।
তাই করোনাবিধি মেনে একেডি পরিবারের কুমারী মায়ের মুখে ছিল মাস্ক, পালন হয়েছে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি। সিএন ও সিটিভিএন চ্যানেলের সকল কর্মী ও আধিকারিকরা এই পুজোয় অংশ গ্রহণ করেছেন। গৃহীর বাড়িতে দুর্গাপুজোয় মহানবমীর দিন হয় কুমারী পুজো। এর উৎস মূলত তন্ত্র। ‘রুদ্রযামল’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, কুমারী পুজো ছাড়া হোমাদি সমস্ত কাজ করেও দুর্গাপুজোর সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায় না। হোমসহ দুর্গাপুজোর অন্যান্য পর্বকে সফল করতেই কুমারী পুজোর ব্যবস্থা। তাই নবমীতে হয় এই পুজো। গৃহীর ফলের বাসনা থাকে আর সন্ন্যাসীর কোনও বাসনা নেই। তাই গৃহীর গৃহে নবমীর দিন হয় কুমারীর পুজো আর সন্ন্যাসীরা কুমারী পুজো করেন অষ্টমীর দিন। মাদুরাইয়ের মীনাক্ষী দেবী মন্দিরে ও কন্যাকুমারীতেও মহা ধুমধামের সঙ্গে কুমারী পুজো হয়।
Post a Comment
Thank You for your important feedback