শহরতলির স্টেশনগুলিতে একাধিক প্রবেশপথে ‘বেড়া’ দিচ্ছে রেল

লোকাল ট্রেন কবে থেকে চালু হবে তার ঠিক নেই। এই মূহূর্তে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবুও এই রাজ্যে শহরতলির ট্রেন চালাতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পূর্ব রেল। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে এক বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে তাঁরা। শহরতলির স্টেশনগুলিতে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে রেল। ফলে লোকাল ট্রেন চালু হলে আর কী কী পরিবর্তন হবে স্টেশনগুলিতে সেটা নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে যাত্রী মহলে। কী সেই পরিবর্তন? শহরতলির বেশিরভাগ স্টেশনের একাধিক প্রবেশ ও নির্গমন পথ বন্ধ করে দিচ্ছে রেল। প্ল্যাটফর্মে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পথ, ফুট ওভারব্রিজ বাদ দিয়ে শেষ দুই প্রান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করল পূর্ব রেল। বিশেষ করে স্টিল ও টিনের বেড়া বা রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে প্ল্যাটফর্মের দুই প্রান্তে। সাধারণ যাত্রীদের অবাধ প্রবেশ রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকরা।
কেন এই বেড়া? হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানিয়েছেন, যাতে প্ল্যাটফর্মে অবাধভাবে প্রবেশ করতে না পারেন যাত্রীরা তাই এই ব্যবস্থা। রেলের মূল লক্ষ্য, ট্রেন চালু হলেই যাতে ট্রেন ধরতে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ঢল না নামে সেটাই নিশ্চিত করা। বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে চারপাশ খোলা ও রোড সাইড স্টেশনগুলিতে। যেখানে স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর একাধিক পথ রয়েছে। সেগুলির বেশিরভাগই বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দুটি গেট খোলা রাখা হবে পারলে, সেক্ষেত্রে আরপিএফ ও রেল পুলিশ যাত্রীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সুবিধেও হবে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করাতে। উল্লেখ্য, রেলমন্ত্রক রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই দুটি চিঠি দিয়েছে। যার কোনটিরও উত্তর দেয়নি রাজ্য সরকার। ফলে পূর্ব রেলের কর্তারাও লোকাল ট্রেন চালুর দিনক্ষণ ঠিক করতে পারেননি। শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, ‘আলোচনার পর রাজ্য যদি কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করে তবে সেগুলি চালু করতে কিছুটা সময় লাগবে, প্রস্তুতিও নিতে হবে রেলকে। তাই আগেভাগেই কিছু কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। স্টেশনগুলিতে ঢোকার বিভিন্ন পথ বন্ধ করা হচ্ছে’। অপরদিকে রেল কর্তাদের একাংশের দাবি, পুজোর দিনগুলিতে যাতে সাধারণ যাত্রীরা স্টাফ স্পেশাল ট্রেনগুলিতে উঠে পড়তে না পারে তার জন্যই এই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা। যা পুজো পরবর্তী সময়েও ট্রেন চালানোর সময় কাজে আসবে। উল্লেখ্য, রেলকর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে ১৩০টি ইএমইউ ট্রেন ও হাওড়া ডিভিশনে ৫২টি ট্রেন চালানো হচ্ছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post