চোখ রাঙাচ্ছে কাঁচা আনাজের দাম, পুজোয় তাই মৎসমুখী বাঙালি



একদিকে করোনা অন্যদিকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই দুইয়ের ধাক্কায় কাঁচা আনাজের বাজার আগুন। সবজির দাম আকাশছোঁয়া। জ্যোতি আলু ৩২ টাকার নীচে নামার নাম নেই। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ টাকা। পেঁয়াজের দাম চোখে জল আনার মতো, ৮০ থেকে ৯০ টাকা কিলো। কাঁচালঙ্কার দাম ২০০ টাকা কেজি। অন্যান্য সবজির দামও ৫০ থেকে ৬০ টাকার কম নেই। সিম, কড়াইশুটি, বাঁধাকপি, ফুলকপির মতো শীতের ফসল আসতে শুরু করে। যার দামও আকাশছোঁয়া। ফলে পুজোর চারদিন যে একটু জমিয়ে ভুরিভোজ হবে, সে আশায় জল ভোজন রসিক বাঙালির। তবে এই আবহেও সামান্য আশার আলো দেখাচ্ছে মাছ-মাংসের দাম। ফলে সবজি ছেড়ে বেশিরভাগ মানুষই মাছ বাজারমুখী। কাটা রুইয়ের দাম ৩৫০-৪০০ টাকার মধ্যে। গোটা রুই আরও কম, সাইজ ভেদে ২৫০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। কাতলার দামও ঠিকঠাক আছে, ৪৫০-৫০০ টাকার মধ্যে। ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া অন্যান্য মাছের দামও বিশেষ বাড়েনি।


অপরদিকে মুরগির মাংসের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজির মধ্যে মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দামে বিকোচ্ছে। অন্যদিকে ডিমের দামও উর্ধ্বমুখী। খুঁচরো বাজারে ডিমের দাম ৭২-৭৮ টাকা ডজন। ফলে আনাজের বাজারে মাথার হাত ব্যবসায়ীদের। প্রতিবছর পুজোর কটা দিনের বিক্রিবাট্টার দিকে তাঁকিয়ে থাকেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। কলকাতার কোলে মার্কেট, মানিকতলা বাজার বা হাওড়া মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন প্রতি বছরই বাজার দর পুজোর সময় একটু চড়া থাকে। কিন্তু নিউ নর্মালে এ বছর বড়ই ব্যতিক্রম। বাজার দর অনেকটাই চওড়া। ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারে সবজির জোগান খুবই কম। তাই বাড়ছে দাম। পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে উঠে আসছে দক্ষিণ ভারতের অতিবৃষ্টি ও বন্যা। ফলে কলকাতায় পেঁয়াজের জোগান কমেছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা ও লকডাউন। শুধুমাত্র ডিমের উৎপাদনেই ঘাটতি রয়েছে ৩০ শতাংশ। আবার আলুর দাম উর্ধ্বমুখী কেন তাঁর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না কোনও পক্ষই। তাই পুজোর কটা দিন মৎস বিলাসেই দিনযাপণ করতে পারেন বঙ্গবাসী।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post