আজ মহা সপ্তমী। প্রতিবছর নিয়ম করে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গা পুজোয় ষষ্ঠীর দিন থেকেই ভিড় হয় মণ্ডপে মণ্ডপে। কিন্তু নিউ নর্মালে সবকিছুই পাল্টায়। সেটা দেখিয়ে দিচ্ছে এবারের পুজো। পুজো আছে, সাজানো-গোছানো মণ্ডপ আছে, আছে আলোর রোশনাই, কিন্তু নেই সেই চেনা ভিড়। করোনা আবহে পুজোর আয়োজন হলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ‘নো-এন্ট্রি’। তাই এবারের কোভিড পরিস্থিতি কেঁড়ে নিয়েছে অনেকটাই আনন্দ। কলকাতা থেকে জেলার সমস্ত বড় পুজোই তাই মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড করে নো-এন্ট্রি বোর্ড ঝোলানো হয়েছে। নজর রাখছে পুলিশও, তাই দর্শনার্থীরা সেভাবে প্যান্ডেলমুখী হচ্ছেন না। অন্যদিকে ষষ্ঠীর সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। সপ্তমীর ভোর থেকেই আকাশ কালো, সঙ্গে এলোমেলো হাওয়া আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে মাতৃ আগমনেও মন খারাপ করা একটা পরিবেশ। তবুও ছাতা হাতে পাড়ার পুজো দূর থেকে দেখতেই হাজির হচ্ছেন কিছু উৎসাহী মানুষ। তবে নেই সেই পরিচিত ভিড়।
রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বঙ্গবাসীকে। হাইকোর্টের রায় মানতে ষষ্ঠীর দিন বিভিন্ন মণ্ডপে ভিড় ছিল একদমই নগন্য। অঞ্জলীর ব্যবস্থা এবার ভার্চুয়াল। সাধারণ মানুষ প্রতিমা দেখছেন টিভিতে কিনবা ইন্টারনেটে। পুজোর দৃশ্য, আরতি লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে অনেক পুজো কমিটিই। তাঁরা বলছেন, নিজের বাড়ির ঠাকুরের আসনের সামনে বসে লাইভ স্ট্রিমিং দেখে অঞ্জলী করা যেতেই পারে। তবে মণ্ডপে ভিড় জমানো নৈব নৈব চ। যদিও সপ্তমীর সকালে কলকাতায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে ছিল সামান্য ভিড়। নবপত্রিকা স্নান করানোর জন্য কলকাতার বারোয়ারী ও বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারা গঙ্গায় যান নবপত্রিকা স্নান করাতে। তবে ঘাটগুলিতে ছিল পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী। তাঁরা ভিড় নিয়ন্ত্রন করে কলাবউ বা নবপত্রিকা স্নানের ব্যবস্থা করেন। করোনা আবহে এ ছাড়া উপায়েই বা কি? ধন্যবাদ কলকাতা হাইকোর্ট।
Post a Comment
Thank You for your important feedback