পুজোতে জোড়া উপহার, নতুন আঙ্গিকে দোতলা বাস-এসি ট্রাম

করোনার জেরে মন ভালো নেই বাঙালির। তবুও আসন্ন দুর্গাপুজোয় উৎসবের মেজাজ রঙিন করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ঐতিহ্যের সফর ফিরিয়ে আনতে চলেছে রাজ্য পরিবহন নিগম (WBTC)। পুজো পরিক্রমা করা যাবে এসি ট্রামে চেপে। আবার পুরোনো কলকাতার স্মৃতি উসকে দিয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে দোতলা বাস। তবে আগের মতো লাল রঙে নয়, সময়ের সঙ্গে এর রঙ পরিবর্তন হচ্ছে, নীল-সাদা। যাত্রীদের জন্য বাতানুকূল ট্রামে পত্রপত্রিকা এবং ওয়াইফাই থাকবে। থাকবে জলখাবারের ব্যবস্থাও। এই বিশেষ ট্রাম সফরের খরচ মাথা পিছু ৫০০ টাকা। পুজোর দিনগুলিতে অর্থাৎ সপ্তমী এবং নবমীতে ওই সুবিধা মিলবে। এসপ্লানেড থেকে উত্তরে শ্যামবাজার এবং পরে ফের এসপ্লানেড থেকে  দক্ষিণে গড়িয়াহাট পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ এসি ট্রাম। কাশী বোস লেন, হাতিবাগান সর্বজনীন, নলিন সরকার স্ট্রিট, একডালিয়া, সিংহী পার্কের মতো পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখা যাবে। প্রতিটি স্টপে ৪০-৪৫ মিনিট দাঁড়াবে ট্রাম। কলকাতার ঐতিহ্য ট্রামে এসির আরামে বসে ঢাকের বাদ্যি কানে নিয়ে মৃদু লয়ে পুজোর মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা হবে সেটা বলাই বাহুল্য।


অপরদিকে, আরেকটি সুখবর দিলেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধন হতে চলেছে দোতলা বাস। তবে এই বাস আগের বাসগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা। ঝাঁ চকচকে আধুনিক মোড়কে ১০টি বাস রাস্তায় নামাতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ নিগম। তবে আপাতত দুটি বাস পুজোর আগেই রাস্তায় নামবে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে আপাতত ৪৫ আসনের দু'টি দোতলা বাস তৈরি করিয়েছে। এই বাসগুলিতে আগের থেকেও চওড়া সিড়ি রাখা হয়েছে। রয়েছে সিসি ক্যামেরা, প্যানিক বাটন। দুটি বাসেরই ছাদ খোলা থাকবে, যাতে শীতের রোদ গায়ে মেখে শহর ঘোরার মজা পেতে পারেন পর্যটকরা। দোতলার অংশেও থাকছে স্বচ্ছ ফাইবার গ্লাস। ফলে শহরের দৃশ্য দেখার সুযোগ মিলবে দোতলাতেও। দোতলা বাস শহরবাসীর কাছে নস্ট্যালজিক ব্যাপার। তাই সেই দোতলা বাস শহরের রাস্তায় ফিরিয়ে আনায় লাভের মুখই দেখবে রাজ্য পরিবহন নিগম।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post