ক্রমশ উর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনাগ্রাফ, চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্তারা

দুর্গাপুজো মিটল, কিন্তু কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের। কারণ রাজ্যে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশ করা সর্বশেষ বুলেটিনেই (২৬ অক্টোবর) সেই ইঙ্গিত রয়েছে। বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১২১ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮২২ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৫৯ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৫৪৬। এবার করোনা আবহেই হয়েছে দুর্গাপুজো। আর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুজো মণ্ডপে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবুও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তবে কলকাতাতে বড় বড় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে ছিল না কোনও ভিড়। চতুর্থীর দিন থেকেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজারের উপরে উঠেছে নিয়ম করে। দুর্গোৎসব শেষ হতেও দৈনিক সংক্রমণের হার কমার কোনও লক্ষণ নেই। উল্টে বাড়ছে রোজ।

এটাই আশঙ্কা করেছিলেন স্বাস্থ্য মহলের একাংশ। সংক্রমণের শীর্ষে সেই কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় এই মুহূর্তে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭২৫৩, উত্তর ২৪ পরগনায় সামান্য কম – ৭০৯৩। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা মহানগরীতে, ৮৯২ জন। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, আক্রান্ত ৮৮৯ জন। ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ায় সুস্থতার হার ক্রমাগত নীচে নামছে। রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.৫৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, পুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পুজোর পর সংক্রমণে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উৎসব শেষের আগেই রাজ্যে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ফলে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে বাড়তি পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। বেড়েছে সাধারণ বেড ও আইসিউ বেডের সংখ্যা। পাশাপাশি অক্সিজেন সহ অন্যান্য সাজ-সরঞ্জামও তৈরি রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post