অবশেষে নতিস্বীকার করল দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তারা জানিয়েছে,
আন্দোলনকারী কৃষকরা দিল্লিতে ঢুকতে পারবেন. তবে কড়া পুলিশ পাহারায়।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার সবাইকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের
বুরারি এলাকার নিরঙ্কারি সমাগম ময়দানে জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর স্টেডিয়ামগুলিতে অস্থায়ী কয়েদখানা বানানোর জন্য পুলিশের
অনুরোধ খারিজ করে দিল দিল্লি সরকার। আন্দোলনরত পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের
গ্রেফতারের পর তাদের রাখার জন্য স্টেডিয়ামগুলিকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল
দিল্লি সরকার। তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য কৃষকরা 'দিল্লি
চলো' অভিযানে যোগ দিয়েছেন।
বৃষ্টি ও প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার কৃষক দিল্লির দিকে এগোচ্ছেন। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে তাঁদের পদযাত্রা। তাঁদের অনেকেই পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লির সীমান্তে। সিঙ্ঘু সীমান্তের পর পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে টিকরি সীমান্তও। হরিয়ানার পানিপথে রাত কাটানোর পর কৃষকরা টিকরি সীমান্তে জড়ো হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হরিয়ানারও বহু চাষি। দিল্লি-পানিপথ সড়ক বন্ধ। দিল্লিতে ওইদিক থেকে আসা মেট্রোর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাবের দুই বিধায়ক পারমিন্দর সিং ধিনসা ও সুখপাল খেরাকো পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বহু জায়গায় কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের থামানো যায়নি। সারা দেশের ৪৭০টি কৃষক সংগঠনের হয়ে ৩৩টি প্রধান সংগঠন দিল্লিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থানে বলতে চলেছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback