জল্পনার অবসান, পরিবহণমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু

অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান, রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফাই দিয়ে দিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি। তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে চিঠিতে এও জানিয়েছেন তাঁর পদত্যাগপত্র দ্রুত গ্রহণ করা হোক। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন ই-মেল মারফৎ চিঠির প্রতিলিপি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও পাঠিয়েছেন। 

এছাড়া ওই চিঠিতে তিনি লেখেন ‘রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ’। এর আগে শুক্রবার সকালেই তিনি নিজের পাইলট কার ও সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনকে। অবশেষে রাজ্যের মন্ত্রীত্বও ছেড়ে দিলেন শাসকদলের এই বিদ্রোহী নেতা। তবে তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দেন নাকি অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেন তার দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।

বৃহস্পতিবারই হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের (HRBC) চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবারও আরও বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। রাজ্য সরকারের দেওয়া জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা এবং পাইলট কার ছেড়ে দেন পরিবহণমন্ত্রী। ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হতে শুরু করে। বেলা বাড়তেই সামনে এল তাঁর মন্ত্রীসভা ছাড়ার  সিদ্ধান্তের কথা। 


 

 

আর এই খবর রটতেই বাংলার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু বেশ কয়েকদিন ধরেই দলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন। দলীয় পতাকা দূরে সরিয়ে রেখে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মঞ্চে শাসকদলকে একের পর এক তোপ দেগে যাচ্ছিলেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি নিজের শক্তি প্রদর্শন করেছেন। তাঁকে শান্ত করতে দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়কে দৌত করতে পাঠায় তৃণমূল। কিন্তু কয়েকবার আলোচনা চালালেও বরফ গলেনি। সৌগত রায়ও সেটা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। 


 

 

এরমধ্যেই এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেই ইস্তফা গৃহীত হয়। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই পদে নিয়োগ করে রাজ্যপালের সম্মতির জন্য পাঠিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। এইচআরবিসি-তে শুভেন্দুর জায়গায় কল্যাণের নিযোগকেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণই মনে করছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। এই বিতর্ক থামার আগেই নিজের নিরাপত্তা ও পাইলট কার ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কী এবার মন্ত্রীত্ব এবং তৃণমূল কংগ্রেসও ছাড়তে চলেছেন বিদ্রোহী এই নেতা? বাংলার রাজনৈতিক মহলে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post