কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন অনড় কৃষকরা। তাঁরা দিল্লির সীমানায় জমায়েত হয়েছেন, রোজই বাড়ছে তাঁদের সংখ্যা। যোগ দিচ্ছেন আরও প্রচুর কৃষক। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁদের এই 'দিল্লি চলো' অভিযান। অমিত শাহ অনুরোধ করেছিলেন, যেন তাঁরা রাস্তা ছেড়ে দিল্লির বুরারি ময়দানে সরে আসেন। তবেই কেন্দ্র তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে কৃষকরা বলেছেন, তাঁরা কোনও অবস্থাতেই সেখানে যাবেন না। ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্র কৃষকদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, রামলীলা ময়দানে যদি বিক্ষোভ সমাবেশ হতে পারে, তাঁদের কেন বুরারি নিরঙ্কারি ময়দানে যেতে হবে। তাঁরা যাবেন না। তাঁরা গাজিয়াবাদ-দিল্লি সীমান্তেই বসে থাকবেন। আইন প্রত্যাহারের আগে তাঁরা ফিরেও যাবেন না। তাঁর সঙ্গে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের কৃষকরাও আছেন।
একই অবস্থা সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমান্তেও। ট্রাকে, ট্রাক্টরে, বাসে, অন্যান্য গাড়িতে চেপে কৃষকরা জড়ো হচ্ছেন সেখানেও। গত তিনদিন জলকামান, টিয়ার গ্যাস, লাঠি উপেক্ষা করেও বিক্ষোভে অনড় কৃষকরা। তাঁদের ঠেকাতে রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। পরবর্তী কর্মপন্থা তাঁরা রবিবার বৈঠক করে ঠিক করবেন। প্রায় একলাখ বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছেন বলে কৃষক নেতাদের দাবি। রয়েছেন বৃদ্ধা মহিলারাও। উত্তরপ্রদেশের চাষিরা জড়ো হয়েছেন গাজিপুর সীমান্তেও। সেখানে ঝাঁসি-মির্জাপুর সড়কে চলছে অবরোধ।
Post a Comment
Thank You for your important feedback