মারাদোনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেলেন না অনেকে ভক্তই। তাই তিনি রয়ে গেলেন অগণিত অনুরাগীদের মনের মনিকোঠায়। হাতে গোনা নিরাপত্তায় থাকা কয়েকজনের উপস্থিতিতে সমাধিস্ত হল ফুটবলের ইশ্বর দিয়েগো মারাদোনার পার্থিব শরীর। সেসময় সেখানে ছিলেন প্রাক্তন বান্ধবী ক্লাদিয়া এবং দুই সন্তান।
ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জাতীয় পতাকা ও আর্জেন্তিনার জার্সিতে মোড়া মারাদোনার কফিন রাখা ছিল প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে। এরপর শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটা নাগাদ মারাদোনার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় বেইয়া বিস্তা গোরস্থানে। রাজধানী বুয়েনস আয়ার্স থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের বেইয়া বিস্তা গোরস্থানে মারাদোনার শেষ যাত্রার কনভয় পৌঁছায় ঘণ্টা দু'য়েক পরে। রাস্তার ধারে কয়োক হাজার মানুষ চোখের জলে অপেক্ষায় করছিলেন ফুটবলের ইশ্বরকে শেষ দেখা দেখার জন্য।
কনভয়ের পিছনেও হেঁটেছেন হাজার হাজার মানুষ। যদিও বেইয়া বিস্তা সেই গোরস্থানে ঢোকার অনুমতি ছিল না কারও। একমাত্র পরিবারের লোকজন ও আর্জেন্টিনা প্রশাসনের শীর্ষকর্তা বাদে। নিরাপত্তারক্ষীরা আগে থেকেই ঘিরে রেখেছিলেন গোরস্থান। সেখানে দিয়েগো মারাদোনাকে সমাহিত করা হয় তাঁর বাবা-মায়ের সামধির পাশেই। আর এখানেই শেষ হয়ে গেল ফুটবলের রূপকথার।
Post a Comment
Thank You for your important feedback