নতুন রূপে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ করা নিয়ে রেল-রাজ্য তরজা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে মাঝেরহাট ব্রিজ দ্রুত চালু করার দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এই মিছিল ঘইরে তুলকালাম বাধে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে বিশাল মিছিলে আটকে পড়ে দক্ষিণ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বিজেপির পাল্টা মিছিল করে তৃণমূলও। কেন্দ্রকে দুষে তৃণমূলের মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এরমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ করা নিয়ে কার্যত রোলের ঘাড়েই দোষ চাপান। তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার নয়, কেন্দ্রের গড়িমসিতেই ভেঙে পড়া সেতুটির পুনর্নির্মাণে ও খুলে দিতে সময় লাগছে। শুক্রবারই সেই দাবি খারিজ করল রেল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সময়মতো মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ করতে না পারার সঙ্গে সঙ্গে বাধ্যতামূলক সুরক্ষা শংসাপত্র দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আর রেলেই এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনিও রাজ্য সরকারের গড়িমসিকেই নিশানা করেন।
All codal formalities prior to opening of the ROB have been completed. It is expected that mandatory safety certificate from PWD will be received shortly for giving clearance by Railways. No other issue is pending with Railways. https://t.co/I93NBUzAVo
— Eastern Railway (@EasternRailway) November 26, 2020
রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রাজ্যের দেওয়া নকশাতেই ভুল ছিল। পরে সেটা জমা দেওয়ার পরও বহু জায়গায় ভুল ধরা পরে। রাজ্যের নকশা পরিবর্তন করার পর তাতে কম করে ২৯টি জায়গায় ভুল ছিল দাবি করে পূর্ব রেল। আর এর জেরেই অনুমতি দিতে দেরী হয় বলে জানানো হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, রেল প্রায় ৯ মাস নতুন এই ব্রিজের অনুমতি দিতে দেরি করে রেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এরপরই নতুন রূপে মাঝেরহাট ব্রিজ নির্মানের উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। নতুন ব্রিজটির কাজও প্রায় শেষ। সম্পূর্ণ হয়েছে কেবল ফিক্সিং এবং লোড টেস্টিংয়ের কাজও। এখন শুধু অপেক্ষা রেলের সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্রের। এরমধ্যেই নতুন এই সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া নিয়ে রাজ্য ও রেল কর্তৃপক্ষের তরজা শুরু হয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback