৬ দিন বাবা-মায়ের দেহ আগলে মেয়ে, চাঞ্চল্য বরানগরে

প্রায় ৬ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বাবা-মায়ের। আর সেই দেহ আগলেই ঘরে ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। আর রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বরানগরের টিএন চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। এখানকার এক বহুতল আবাসনে থাকতেন এ কে চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী শিপ্রাদেবী। স্বামীর বয়স আশি পেরিয়েছে, স্ত্রীর বয়সও সত্তরের উপর। এরা দুজনেই পেশায় চিকিৎসক বলে দাবি এলাকাবাসীর।  একমাত্র মেয়ে দেবী ভৌমিক (৪৮) তাঁদের কাছেই থাকতেন। দেবী মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তবে সেখানে দেবীর একমাত্র মেয়েও থাকতেন ওই ফ্লাটে। সেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। 

 


রবিবার রাতে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিস গিয়ে দরজা খুলিয়ে বৃদ্ধ দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ মা ও মেয়েকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে প্রথমে স্বামীর মৃত্যু হয়, পরে মারা গিয়েছেন স্ত্রী। মৃত্যুর দিন সম্ভবত গত ২৩ নভেম্বর। দেহে অতিরিক্ত পচন ধরায় ঠিক কী কারণে ও কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, মেয়ে দেবী সবটাই জানতেন। তাঁরা খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বরাহনগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post