নির্জনতাকে সঙ্গী করতে ‘রঙ্গিত’ ঘেরা বিজনবাড়ি


বিগত কয়েকবছরে দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি ভ্রমণপ্রেমীদের তালিকায় উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অফবিট এলাকা। রোজকার জীবনের ব্যস্ততা ভুলে শুধু পাহাড় আর প্রকৃতির কোলে কয়েকদিন কাটাতে চাইলে আপনার ঠিকানা হতেই পারে বিজনবাড়ি। ঘরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি খরস্রোতা নদী দেখতে দেখতে গরম চায়ে চুমুক দিয়ে শুরু হবে দিন। এরপর দুরন্ত শিশুর মতো অবিরাম বয়ে চলা রঙ্গিত নদীর গান শুনেই কেটে যাবে বেলা। এখানে নেই দূষণ, আওয়াজ ও বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং। তাই পাহাড়ের নির্জন, শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ দুই-তিনদিন অনায়াসেই কেটে যাবে। সঙ্গে অপরূপ দৃশ্যপট একদম ফ্রি।


 


দার্জিলিং জেলার অন্যতম পুরোনো গ্রাম এই বিজনবাড়ি। দার্জিলিং থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে পাহাড়ে ঘেরা এক উপত্যকায় এর অবস্থান। যারা নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করেন তাদের হতাশ করবে না রঙ্গিত নদী ঘেরা বিজনবাড়ি। শান্ত,নির্জন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বিজনবাড়ি। গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে রঙ্গিত নদী। কয়েকটি রিসোর্ট ও হোম-স্টে রয়েছে এখানে। ফলে অযথা হোটেলের ভিড়ভাট্টা নেই। এখানে যারা আসেন তাঁরা পায়ে হেঁটেই এদিক ওদিক ঘুরে বা উচ্ছ্বল রঙ্গিতের পাড়ে খুনশুটি করেই কাটিয়ে দেন। 




 এছাড়া, পাহাড়ি পথ পেরিয়ে এখানে পৌঁছনোর পথেই পরবে হিমা ফলস, চা বাগান। আর জামুনের কাছেই প্রথম ধরা দেবে রঙ্গিত নদী। পাহাড়, নদী ঘেরা এই উপত্যকায় প্রকৃতি যেন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। বিজনবাড়ির কাছেই ফুলবাজারে বসে দার্জিলিং জেলার সবচেয়ে পুরোনো হাট। শুধু এই হাট দেখতেও এখানে আসেন পর্যটকরা।  


কীভাবে পৌঁছবেন :

রেল পথে, উত্তরবঙ্গ বা অসমগামী যেকোনও ট্রেনে পৌঁছতে হবে শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি। স্টেশনের কাছ থেকেই মিলবে বিজনবাড়ির জন্য রিসার্ভ গাড়ি। তবে গাড়ি রিজার্ভ না করতে চাইলে শিলিগুড়ির মহানন্দা ব্রিজের কাছ থেকে বিজনবাড়ি যাওয়ার জন্য পাওয়া যাবে শেয়ার জিপ গাড়ি। খরচ ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যেই। এছাড়া দার্জিলিং থেকেও ঘুরে আসা যায় বিজনবাড়ি। চকবাজার থেকেই শেয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন পর্যটকরা।

 

  

 

কোথায় থাকবেন?
বিজনবাড়িতে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট রিসর্ট এবং হোম-স্টে। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু দিনপ্রতি খরচ ১০০০-১৫০০ টাকার কাছাকাছি।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم