বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর অব্যহত। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরই শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে তলব করেছিল দিল্লিতে। যার জবাবে মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে দিল্লি যাওয়া থেকে অব্যহতি চেয়েছিলেন। এবার রাজ্যের দুই শীর্ষ আমলার পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে তিনি লেখেন, মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে তলব সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’ ও ‘সংবিধান বিরোধী’। এর আগে নবান্নের তরফে মুখ্যসচিবের চিঠিতে উল্লেখ ছিল রাজ্য পুরো বিষয়টা গুরত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে। সুতরাং, দিল্লিতে উপস্থিত থাকা থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক। এর একধাপ এগিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব ভাল্লাকে চিঠি দিয়েছেন। তাতে কল্যাণ লিখেছেন, ভারতীয় সংবিধান অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাহলে কীভাবে রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিককে ডেকে পাঠায় কেন্দ্র? রাজনৈতিক চাপেই কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরণের কাজ করছে।
তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অমিত শাহের চাকরের মতো কাজ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, মনে হচ্ছে এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে।এছাড়া অজয় ভাল্লাকে লেখা চিঠিতে রাকেশ সিংয়ের উল্লেখও করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘রাকেশ সিংহের মতো দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন নড্ডা। যে রাকেশের নামে ৫৯টি মামলা রয়েছে’। প্রসঙ্গত, নাড্ডার কনভয়ে হামলার জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ি করেছিলেন বা এখনও করছেন। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল এটাকে হালকাভাবে নিতে নারাজ, তাঁরাও পুরোদমে আক্রমণে যাচ্ছেন সেটা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া ভাষার চিঠিতেই বোঝা যাচ্ছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback