সোমবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেল তৃণমূল সরকারের নতুন কর্মসূচি ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী এবার সরকার আপনাদের দুয়ারে কড়া নাড়বে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাই জেলায় জেলায় সাজো সাজো রব। চলবে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। এই কর্মসূচি সফল করতে রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার শিবির হচ্ছে। কোনও নাগরিক যদি কোনও সরকারি পরিষেবা না-পেয়ে থাকেন তবে তাঁরা এই ক্যাম্পেই আবেদন করতে পারবেন।
সোমবারই নবান্ন থেকে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রত্যেক জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের মানুষদের সমস্ত পরিষেবা ভালো করে প্রচার করা ও এর জন্য কী কী নথিপত্র দাখিল করতে হবে সেগুলি বুঝিয়ে দিতে। তবে এই কর্মসূচি সফল করতে সরকারি উদ্যোগের থেকেও দলীয় স্তরে বেশি সক্রিয় হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে বাইক মিছিল করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ফলে বিরোধীদের প্রশ্ন, এটা কি দলীয় কর্মসূচি নাকি সরকারের?
দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভা থেকে দাবি করেন সরকার ১০০ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে, যদি তাই হয় তবে সরকারকে কেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হচ্ছে? বামেদের তরফেও একই কথা বলা হয়েছে। সরকারের বক্তব্য, আগামী দুমাস সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই শিবির গড়ে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। একই ছাতার তলায় ১১টি সেরা প্রকল্পের পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষরা।
ওই শিবিরেই যেমন যারা পরিষেবা পাননি তাঁরা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তেমনই অন্যান্যরা নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন। সরকারি পেনশন, বিধবা বা বার্ধক্যভাতার নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে। তেমনই সম্ভব হলে চটজলদি নিষ্পত্তিতে উদ্যোগী হবেন প্রশাসনের কর্তারা। আরও জানানো হয়েছে, কত সংখ্যক আবেদন জমা পড়ছে, কত অভিযোগের নিষ্পত্তি হচ্ছে, তা দেখভালের জন্য তৈরি হয়েছে আধুনিক পরিকাঠামো। মুখ্যসচিবের কথায়, ‘চালু হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম। খোলা হচ্ছে অনলাইন পোর্টালও’। কিন্তু বিজেপির দাবি, রাজ্যের যত কর্মসূচি রয়েছে তার বেশিরভাগই নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছায়নি। তাই ভোটের মুখে টনক নড়েছে সরকারের।
Post a Comment
Thank You for your important feedback