তিনি কি করতে চলেছেন সেই দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে গোটা বাংলা। জানা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে ‘অসন্তুষ্ট’ শুভেন্দু হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছিলেন যা বলার ৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার বলবেন। কিন্তু এদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেলেও তিনি নিরবই থাকলেন। অপরদিকে বঙ্গ বিজেপিও গোটা ঘটনার দিকে গভীর নজর রাখছে। রবিবার সকালেই শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় দাঁড়িয়ে সেই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘সবার জন্যই বিজেপির দরজা খোলা আছে। যাঁরা মনস্থির করে নিয়েছেন তাঁরা চলে এসেছেন। আর যাঁরা মনস্থির করতে পারেননি তাঁরা সময় নিচ্ছেন। শুভেন্দুবাবু কী চাইছেন তা জানার অপেক্ষায় রয়েছি’।
এদিকে সারা দিনই নিজের মতোই কাটালেন পদত্যাগী পরিবহণমন্ত্রী। কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গেল না দিনভর। ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কেন এদিন কিছু বললেন না শুভেন্দু? তবে কী তিনি আরও সময় নিচ্ছেন? শুভেন্দুর জেলাতেই রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আবার সোমবারই মেদিনীপুরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতেই তিনি মেদিনীপুর পৌঁছে যাবেন।
আর যাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় তিনিই কিনা নির্লিপ্ত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রবিবার ছিল ৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বাবরি ধ্বংসের ঐতিহাতিক দিন। শুভেন্দু সুচতুরভাবেই এই দিনটি এড়িয়ে গেলেন। কারণ তাঁর অনুগামীদের মধ্যে সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাই হয়তো দিনটি স্মরণ রেখে তিনি মুখ বন্ধ রাখলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে অনেকের মতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন শুভেন্দু। কারণ চারিদিকে ‘দাদার অনুগামী’ নামে পোস্টার পড়ছে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে। এই পরিস্থিতিতে তিনি জল মাপছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও শুভেন্দুকে প্রকাশ্যে ক্লোজ চ্যাপ্টার বলে দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে আবার তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের নামেও হোর্ডিং-পোস্টার পড়েছে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা কলকাতা পুরসভার অন্যতম প্রশাসক অতীন ঘোষও বেসুরো গাইছেন। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু ধীরে চলো নীতিই বেছে নিয়েছেন। ফলে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা জানতে অপেক্ষাই করতে হবে বাংলার আম জনতাকে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback