শুভেন্দুর পর তৃণমূল ছাড়তে পারেন যারা

জিতেন্দ্র তিওয়ারির পর এবার দল থেকে ইস্তফা দিতে তৈরি বলে জানিয়ে দিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পরিয়াল। অপরদিকে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত এবং পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডলকে নিয়ে। সবমিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের ভাঙন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। বুধবার আসানসোলের গ্রাফাইট কারখানার মেন গেটের সামনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভা ছিল। সেখানেই আসানসোলের মুখ্য প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি ভাষণ দেন। এই সভা থেকেই তিনি বলেন, ‘এটাই হয়তো জেলা সভাপতি হিসেবে আমার শেষ বক্তব্য। বিকেলের মধ্যেই যদি জেলা সভাপতির পদ ছাড়তে হয়, তবে আমার দু’মিনিট সময় লাগবে না। আমি ছেড়ে দেব’। 


উল্লেখ্য, আসানসোলে কেন্দ্রীয় স্মার্টসিটি প্রকল্পের টাকা নিয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদে জড়িয়েছেন জিতেন্দ্র। এরপরই তাঁকে কলকাতায় ডেকে পাঠায় দল। কিন্তু তিনি কলকাতার পথে পা বাড়াননি। উল্টে আসানসোলে দাঁড়িয়েই ইস্তফার হুমকি দিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর ভাষণের পরই একই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পরিয়াল। তিনিও জিতেন্দ্রর সুরে বলেন, ‘দল বললে সন্ধের মধ্যেই আমি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে তৈরি আমি’। 

 

সবমিলিয়ে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ফের সামনে চলে এল। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা আরও জোরালো হল। বুধবার তাঁর বাড়ির সামনেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার দেখা গেল। এই ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, বিরোধী বলেই প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে হবে, আমি এটায় আমি বিশ্বাস করি না। রাজনীতিতেও স্নেহ-ভালবাসা থাকবে। একজন বিজেপি-র লোক যদি কোনও কাজ নিয়ে আসে, তা হলে কি আমি সাংসদ হিসেবে তাঁকে সাহায্য করব না? এরপরই আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, দল আমাকে সম্মান দিয়েছে ঠিকই , তবে ঠিকমতো কাজ করতে দেয়নি। 


আরেক তৃণমূল বিধায়কের গলাতেও উল্টো সুর শোনা গেল। তিনি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। এদিনই তাঁর ছবি দেখা গেল ‘দাদার অনুগামী’-দের ব্যানারে। এই নিয়ে কোনও রাখঢাকও রাখেননি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দিলেন, ‘দলে কাজ করার পরিবেশ পাইনি। কেন এটা করা হচ্ছে আমি জানি না। আমন্ত্রণ না পেলে কোথাও গিয়ে গোলমালের মধ্যে পড়তে আমি চাই না’। এর আগেও তিনি বহুবার অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে দলের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এবার বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই তিনি কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিলেন।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post