বহিরাগত নয়, বনসহায়ক কর্মী নিয়োগে প্রাধান্য দিতে হবে বনবস্তিবাসীদের। শুক্রবার এই দাবিতেই বনদফতরের মাদারিহাট রেঞ্জ কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভে দেখালেন বনবস্তিবাসীরা। তাঁদের দাবি, বনসহায়ক পদে যে বহিরাগতদের নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং বনবস্তি বাসিন্দাদের অগ্ৰাধিকার দিতে হবে। এদিকে নিয়োগের ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপিও।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় বনদফতরের অফিসে পর্যায়ক্রমে বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। কিছুদিন আগেই অলিপুরদুয়ারের দমনপুর রেঞ্জ অফিসে শাসকদলের কয়েকজন কর্মীরাই বিক্ষোভ দেখান এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে। এরপর শুক্রবার ফের একই ইস্যুতে মাদারিহাট রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভে সামিল হন বনবস্তিবাসীরা। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট -বীরপাড়া ব্লকের ধুমচি বনবস্তি, উত্তর খয়েরবাড়ি, দক্ষিণ খয়েরবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখানোর পর রেঞ্জঅফিসারকে ডেপুটেশন প্রদান করেন। বনবস্তিবাসীরা জানান, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় বনদফতরের বনসহায়ক কর্মী নিয়োগ হয়েছে। সেই নিয়োগে বনবস্তিবাসীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি, বদলে বহিরাগতদের নিয়োগ করেছে।
এবিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। তৃণমূল জানে ২০২১- এ আর ক্ষমতায় ফিরবে না তাই যতটা পারছে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। একেকটি নিয়োগের পেছনে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তৃণমূলের কর্মীরাই বলছেন দুর্নীতির কথা। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের কি অবস্থা। আগামীতে আমরা ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি করে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে তা বাতিল করব।
Post a Comment
Thank You for your important feedback