স্থানীয় বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধরের পর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত থেকে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা অঞ্চলের নাজিরহাট এলাকা। আহত আরও এক বিজেপি কর্মী। রাতে আক্রান্তদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলেও দাবি। গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি ও আক্রান্তের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্ত দীননাথ বর্মন নাজিরহাট অঞ্চলের বুথ সহ-সভাপতি। গত ৩ মাস দেরাদুনে কাজ করে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। আক্রান্ত ওই কর্মী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির কার্যালয় যান তিনি। সেই সময় হসপিটাল মোড়ের কাছে প্রথমে বিজেপির তিনজন কর্মীকে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিশের সামনেই তারা বিজেপির পার্টি অফিসে এসে হামলা চালায়।
একজন যুব নেতাকেও মারধর করে। পার্টি অফিসে ঢোকার সময় তৃণমূলের লোকজন তাঁর ওপরও চড়াও হয়। অভিযোগ, প্রথমে লোহার রড দিয়ে কাঁধে মারা হয়। এমনকী তাঁর চোখ খুবলে নেওয়ারও চেষ্টা করে। গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করেন দলের কর্মীরা। সেই সুযোগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে প্রথমে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাঁর চোখের অবস্থা খুবই খারাপ, দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন বলেও খবর। ওই বিজেপি নেতার স্ত্রী ও স্থানীয় বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী সান্তনা বর্মনের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
বিজেপি নেতা বিরাজ বোস বলেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে অগ্নিগর্ভ হচ্ছে কোচবিহার। বারবার বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি। আগের দিনই মাথাভাঙায় বিজেপি জেলা সম্পাদকের উপর গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের হার্মাদরা। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। এরফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একুশের ভোটে ভুগতে হবে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
Post a Comment
Thank You for your important feedback