বঙ্গ সফরে সংগঠন মজবুত করাই লক্ষ্য অমিতের


সংগঠন ছেড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় অনেকদিন এসেছেন অমিত শাহ। স্বভাবতই প্রধানমন্ত্রীর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় নম্বর-২ তিনি। অপরদিকে বিজেপির সাংগঠনিক প্রধান বা সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্বে এসেছেন জেপি নাড্ডা। কিন্তু অমিত শাহ আজও কিন্তু দলের সংগঠনে নেপথ্যে পারদর্শিতার সাথে কাজ করে চলেছেন। বিহার বিধানসভা নির্বাচন অতীত, বিজেপির পাখির চোখ এবার পশ্চিমবঙ্গের ভোট। আর গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে দলের রাশ নিজের হাতেই রেখেছেন অমিত শাহ। বাংলা দখলের পরিকল্পনা যে তাঁরই মস্তিস্ক প্রসূত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা যায়, গত লোকসভায় বঙ্গ বিজেপির ১৮ টি আসন জয় তাঁর হাতেই এসেছে। এবার বিধানসভায় আরও আসন বাড়িযে বাংলার মসনদ দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই ঘনঘন রাজ্যে আসছেন জেপি নাড্ডা বা অমিত শাহ। পাশাপাশি দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতাদের বারবার বাংলায় পাঠাচ্ছেন তিনি।  এবার অমিত শাহ নিজেই আসছেন ১৯ ডিসেম্বর। সূত্রের খবর, দলের সংগঠন নিজেই তদারকি করবেন, দলীয় নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন। 


বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা কোন কোন কেন্দ্রে শাক্তিশালী ছিল এবং এখন সেই বিধানসভাগুলির অবস্থান কি তার রিপোর্ট নিচ্ছেন অমিত শাহ। সেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান বর্তমানে কি অবস্থায় রয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখবেন তিনি।  রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলা এবং ত্রিপুরার অবস্থান এক নয়। এখানে আঞ্চলিক নেতৃত্বর একটা ভূমিকা থাকে। তাই বুথস্তরে লড়াকু কর্মী দরকার জয়ের ভিত মজবুত করতে হলে। এই বিষয়ে কিছু নির্দেশ দিতে পারেন  অমিত শাহ, এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। পূর্ব পাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি জনসভা করবেন বনগাঁয়। এনআরসি ইস্যুতে সুর আরও চড়াবেন বলেই ধারনা। এরকমই সম্পূর্ণ ছক করেই একুশের লড়াইয়ে  এগোতে চান অমিত শাহ।     

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post