রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উপড়ে ফেলব, মমতার কেন্দ্রে বললেন নাড্ডা

বুধবার দুপুরেই কলকাতায় পা রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। এরপরই তিনি কলকাতার হেস্টিংসে দলীয় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি রাজ্যের ৯টি জেলায় দলের নতুন কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন ভার্চুয়ালি। হেস্টিংসর সভা থেকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্য থেকে উৎখাতের ডাক দিলেন। 

তিনি দলীয় কর্মী-সমর্থক ও নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘মমতার আর এক নাম অসহিষ্ণুতা। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে’। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান, রাজ্যে ১৩০ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমি নিজে ১০০ জনের তর্পণ করেছি। এটা কোন বাংলা? আসলে বাংলায় রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়ে চলেছে তৃণমূল। 


 


এদিন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ করেন জেপি নাড্ডা। তিনি তৃণমূলকে পরিবারকেন্দ্রিক দল বলেও কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, তৃণমূলের কাছে পরিবারটাই, আর বিজেপির কাছে দলই পরিবার। এই প্রসঙ্গে তিনি অম্বিকেশ মহাপাত্রের কথা বলেন। নাড্ডা বলেন, একটা কার্টুন এঁকেছিলেন বলে তাঁকে ধরে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। আরামবাগ টিভির এডিটর সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কারণ তিনি তৃণমূলের দুর্নীতি সবার সামনে এনেছিলেন। 

মণীশ শুক্লা খুনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন এদিন। নাড্ডা বলেন, ‘মণীশ শুক্লাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এখনও কোনও বিচার হয়নি। এখানে আইনশৃঙ্খলা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়’। একুশের লক্ষ্যে বিজেপি যে সর্বাত্মক ঝাঁপাবে সেটাও জানিয়ে নাড্ডা বলেন, তৃণমূল সরকারকে রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলেই ছাড়ব। এরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুক ভবানীপুর ও হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে আর নয় অন্যায় কর্মসূচি এবং জনসম্পর্ক র‍্যালিতে অংশ নিলেন। এই দুটি কর্মসূচিতেই মানুষের বিপুল উৎসাহ ও উদ্দিীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে জেপি নাড্ডাকে ঘিরে।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post