বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, “দুয়ারে সরকার প্রকল্প আসলে সাধারণ মানুষের ফোন নম্বর জোগাড়ের ফন্দি। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা মানুষের ফোন নম্বর জোগাড় করে ভোটপ্রচারে কাজে লাগাবে। একদম যাবেন না দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে”। দিলীপের প্রশ্ন, এতদিন পর মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কথা মনে পড়েছে সরকারের? ৯ বছরে যে সরকার পরিষেবা দিতে পারল না, তাঁরা ২ মাসে কী করে পরিষেবা দেবে?
বুধবার সকালে প্রতিদিনের নিয়মমতো প্রাতঃভ্রমণে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেই সঙ্গে কলকাতার বউবাজারে এক চা-চক্রেও যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি তোপ দাগেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এদিন তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হয়েছে, ভোটের সময় শুধু ‘পিসি-ভাইপো’-ই থাকবেন দলে। এদিনও দিলীপবাবু দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের বহু এমপি-এমএলএ যোগাযোগ রাখছেন। এবার বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যাবে। পাশাপাশি তিনি পুলিশের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন।
দিলীপবাবুর হুঁশিয়ারি, তৃণমূল কংগ্রেসের দাসত্ব ছেড়ে সঠিক কাজ করুন, নাহলে আগামীদিনে পরিণাম ভয়ানক হবে। শাসকদল তৃণমূলকেও বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, কাটমানি, তোলাবাজি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলে। তাই সঠিকভাবে কাজ করতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে একমাত্র পথ এখন বিজেপি। বিজেপির উপর শাসকদল যত অত্যাচার করবে বিজেপি ততই শক্তিশালী হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরভোট করাতে চাইছিল না, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের চাপে পড়ে ভোট করাতে বাধ্য হচ্ছে রাজ্য সরকার। পুরভোট সঠিকভাবে হলে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয় নিশ্চিত বলেও জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
Post a Comment
Thank You for your important feedback