রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় ফের তোপ দাগলেন। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গ তুলে দাবি করেন, অবিলম্বে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করা প্রয়োজন। তাঁর আরও দাবি, ‘বিনা প্ররোচনায় কনভয়ের উপর হামলা হয়েছে। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে জেপি নাড্ডার জীবনসংশয়ও হতে পারত। বাংলায় আইনের শাসন নেই’।
অপরদিকে, নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নাড্ডার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি হয়নি। সমস্ত ব্যবস্থাই যথাযথ ছিল, ছিল যথেষ্ট পুলিশও। তাঁকে বুলেটপ্রুফ গাড়িও দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি নেতা মুকুল রায় এই বক্তব্যের পাল্টা সুর চড়িয়ে বলেন, ‘বুলেট প্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। তবে পুলিশ হাত গুটিয়ে ছিল। অবিলম্বে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি হওয়াই উচিত’।
শুক্রবার বিজেপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। মুকুল রায় বলেন, ‘হামলায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়েছে। তাঁর জীবন সংশয়ও হতে পারত’। এরপরই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগে বলেন, এত মিথ্যাবাদী সরকার আমার রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি। রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল নিজের এক্তিয়ারে থেকেই কাজ করেছেন। যে রিপোর্ট গেছে ওটা সিস্টেম মেনেই গেছে। আইনের শাসনের জন্য বাংলায় এক্ষুনি ৩৫৬ ধারা জারি করা প্রয়োজন।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিল্লিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি তলব করা নিয়ে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্র অসাংবিধানিক কাজ করছে। তাঁর ব্যাখ্যা, বৃহস্পতিবার রাজ্যে মন্ত্রিসভার রিপোর্ট কার্ড পেশের দিন ছিল। সেদিক থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এটা ঘটানো হয়েছে। একই সুরে বিজেপিকে দুষেছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ও।
Post a Comment
Thank You for your important feedback