২০২১-এর ভোটেই এই সরকারকে উপড়ে ফেলে দেব, হুঙ্কার শুভেন্দুর

ঘরের মাঠ কাঁথিতে বিজেপির হয়ে প্রথম প্রচারমিছিল ও জনসভায় পাল্টা আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সিএন নিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই আক্রমণ করলেন না, তীব্র আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেন সৌগত রায়ে এবং ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের। শুভেন্দু বলেন, কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পবিত্র ভূমি মেদিনীপুরে এসেছিলেন। আমি তাঁকে বলব টিভিতে বসে আজকের লাইভটা দেখতে। আজকে স্বতস্ফুর্তভাবে জনগণ রাস্তায় নেমে তাঁকে উত্তর দিয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্রে জনগণই শেষ কথা। 

তিনি ছেড়ে কথা বলেননি সৌগত রায়কেও। এদিন তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৯৮ সালে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী হয়েছিলেন। এমনকি ২০০৬ সালে ক্ষিতি গোস্বামীর বিরুদ্ধে সৌগত রায়ের হেরে যাওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সিএন নিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে। তিনি সরাসরি সৌগত রায়ের নাম নিয়ে হুঙ্কার দেন, কাঁচের ঘরে বসে অধ্যাপক রায় ঢিল ছুঁড়বেন না।  এনডিএ কনভেনর জর্জ ফার্নান্ডেজের টাকায় তৈরি তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে তৃণমূলের মুখপাত্র গোটা মেদিনীপুরকে বিশ্বাসঘাতক বলেছে। এরপরই সুর চড়িয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, ১৬টা নয়, ৩৫টি আসনেই তৃণমূলকে গো-হারান হারাব।  

এদিন বিজেপি নেতা হিসেবে প্রথমবার কাঁথির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনজোয়ার ছিল চোখে পড়ার মতো। গতকালই কাঁথির সভায় মানুষের ভিড়ের কথা উল্লেখ করে জনসভায় শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘তৃণমূলের সভায় দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে ৫০০০ লোক ছিল। এদিনের ভিড় সম্পর্কে ধারণা তৈরির দায়িত্ব আমি উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের ওপরই ছেড়ে দিলাম’। এরপরই তাঁর হুঙ্কার, ‘এটা মোদি ঝড়, এখন জন সুনামি চলছে, ২০২১ এও সুনামি দেখবে সকলে। এই সরকার উখড়ে ফেলব’। এদিনের জনসভাতেই তিনি জানিয়ে দিলেন তাঁর পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ২৭ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post