উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু তদন্তে এবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্য পুলিশের দেওয়া ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, খুব কাছ থেকে শটগানের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে বলে দাবি করে পুলিশ। তাঁদের আরও দাবি, এই ধরনের শটগান পুলিশ ব্যবহার করে না। অর্থাৎ বাইরে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলে দুষ্কৃতীরা ছিল বলেই দাবি করে পুলিশ।
সেইসঙ্গে টুইটে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্তভার হাতে নিচ্ছে রাজ্য সিআইডি। যদিও বিজেপির দাবি, রাতারাতি দেহের ময়নাতন্ত করে মিথ্যা কথা বলছে রাজ্য পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, সত্যি ঘটনা ধামাচাপা দিতেই রাতের অন্ধকারে ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ। এটা বেআইনি। তিনি আরও বলেন, এর আগেও বহু ঘটনায় সিআইডি তদন্ত হয়েছে। কিন্তু কোনও ঘটনাতেই সত্যিটা সামনে আসেনি। একমাত্র সিবিআই তদন্তেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। সবমিলিয়ে উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত্যু হওয়া বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে গভীর রহস্য দানা বেঁধেছে।
There was a malafide intention to create violence by the use of firearms. CID West Bengal has been asked to investigate. Truth will come out and strong action will be taken against all those who planned and executed the heinous crime. (3/3) pic.twitter.com/8UNdfDoVDH
— West Bengal Police (@WBPolice) December 8, 2020
সোমবারের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের টুইটের পর রহস্য আরও গভীর হল। রাজ্য পুলিশের দাবি, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পূর্ব পরিকল্পিত অসৎ উদ্দেশ্য ছিল’। সিআইডি তদন্ত প্রসঙ্গ পুলিশের বক্তব্য, ‘সত্যিটা সামনে আসবে এবং যাঁরা এই জঘন্য অপরাধ করেছে, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি হবে’। কিন্তু বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, সত্যিটা ধামাচাপা দিতেই পুলিশ এই তত্ত্ব সামনে আনছে। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর দাবি, আমাদের কর্মী উলেন রায়ের বুকে গুলি লেগেছে। যদি মিছিলের মধ্যে থেকে গুলি চলতো তাহলে পিঠে গুলি লাগত। কিন্তু এক্ষেত্রে এটা হয়নি।
তাঁর আরও দাবি, বোঝাই যাচ্ছে পুলিশের মধ্যেই মিশে কেউ গুলি চালিয়েছে। আমাদের কাছে অনেকেই জানিয়েছেন পুলিশের গুলি চালানোর কথা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, উলেন রায়ের পরিবারকে রাতেই দেহ সৎকারে চাপ দিয়েছে পুলিশ। এমনকী সাদা কাগজে মুচলেকা দিতেও চাপ দেওয়া হয়েছে। দিলীপবাবু আরও জানান, ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ঢাকতেই রাতের অন্ধকারে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। অথচ নিয়ম মেনে রাতে পোস্টমর্টেম হয় না।
মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গের তিন বিজেপি সাংসদ নিহত বিজেপি কর্মীর গাজোলডোবার বাড়িতে যান। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জয়ন্ত রায় উলেন রায়ের বাড়ি যান। তাঁরা ওই বিজেপি কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাঁর তিন সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback