প্রতিদিনই নিয়ম করে প্রাতঃভ্রমণে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবারও তাঁর অমান্য হল না। এদিন প্রাতঃভ্রমণের শেষে সাংবাদিকদের সামনে ফের একহাত নিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন পড়ুয়াদের ট্যাবের বদলে নগদ টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলকে বিঁধে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওটাতেও দুর্নীতি হবে। ওই পড়ুয়াদের তালিকাতেও তৃণমূল নেতাদের ছেলে-মেয়েদের নাম ঢোকানো হচ্ছে। আমফানের মতোই এখানেও দুর্নীতি হবে। এর কাটমানি যাবে তৃণমূলের ইলেকশন ফান্ডে’। উল্লেখ্য, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছিলেন, সাড়ে ৯ লাখ ট্যাব জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার করে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই টাকায় তাঁরা নিজেদের পছন্দের ট্যাব কিনে নিতে পারবেন। এদিন এই প্রকল্প নিয়েই কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পাশাপাশি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণাকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে একটাও নিয়োগ হবে না, আপাতত তৃণমূল ব্যস্ত নিজেদের ঘর গোছাতে।
এরপরই কাঁথিতে ফিরহাদ হাকিম ও সৌগত রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পদযাত্রা প্রসঙ্গে বিদ্রুপ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি কাঁথিতে তৃণমূলের সভাকে চৈত্র সেলের সঙ্গে তুলনা করেন। দিলীপের কথায়, ‘তৃণমূলর গুদামে যারা পড়েছিল তাদের নিয়ে গিয়ে নানা জায়গায় সভা করছে। যে সমস্ত জিনিস বিক্রি হয় না, তা চৈত্র সেলে বিক্রির চেষ্টা’। প্রাতঃভ্রমণ শেষ করে তিনি নিউটাউনে একটি চা-চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। এখানেও তিনি শাসকদলকে তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ করেন। তিনি জানান, এরাজ্যে তৃণমূলের পার্টি অফিস বোমা তৈরীর কারখানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এরাজ্যের কৃষকরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য ৬০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও রাজ্যের কৃষকেরা তা পায়নি। উল্টে তাঁর দাবি, কৃষকরা ৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করলেও বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। দিদিমনির দলের ফড়েদের দাপটেই এটা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দু’শোর বেশি আসন পেয়ে সরকার গড়বে বিজেপি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback