নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে আর খাওয়া যাবে না, মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেঃ দিলীপ ঘোষ

বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ বিজেপি। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর এখন থেকেই বাক-যুদ্ধে সামিল হয়েছে শাসকদল ও বিরোধী শিবিরের নেতারা। দিন যত এগোচ্ছে ততই ঝাঁজ বাড়ছে কথার। সোমবারও রাজ্য বিজেপির সভাপতি তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল তৃণমূল নেত্রীর। কিন্তু সোমবারই তৃণমূলের তরফে জানানো হয় তিনি ওইদিন নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন না। ওইদিন কর্মসূচি হলেও নেত্রী পরে কোনও একদিন যাবেন নন্দীগ্রামে। 


এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন, তাই নন্দীগ্রাম যাবেন না। ওখানে গেলে তাঁকে হাজার প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। যে নন্দীগ্রামকে ভাঙিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সেখানে কী করেছেন! নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে আর খাওয়া যাবে না। ওখানে গেলেই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে। এটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন ভালভাবে’। রাজ্যের দুয়ারে সরকার নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘মেলা-ঠেলা-লীলা হয় না অনেকদিন। তৃণমূল পার্টির লোক কামাবে এসব ক্যাম্প থেকে। ৫০ হাজার কোটি বাজেট স্বাস্থ্যসাথীর। এদিকে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ১২ হাজার কোটি। ঢপের রাজনীতি আর চলবে না। সাধারণ মানুষ এখন সব বোঝে’। তাঁর দাবি, এই সমস্ত ক্যাম্প করে রাজ্য সরকার ডেটা সংগ্রহ করছে। পরে নির্বাচনি প্রচারে সেটা কাজে লাগাবে। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post