বাড়িতে ঢোকার গেট থেকে ঘরের ভিতর সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু ত্রিশূল, তন্ত্রসাধনার নানা সামগ্রী। সল্টলেকের অর্জুন মাহেশ্বরীর খুনের ঘটনায় ক্রমশ জোরাল হচ্ছে তন্ত্রসাধনার তত্ত্ব।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মৃত অর্জুন মাহেশ্বরীর মা মাহেশ্বরী ও ভাই বিদুর মাহেশ্বরীকে সল্টলেকের এ জে ব্লকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ চলে। সেখান থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের সামনে। জানা যায়, ১২/০৮/২০২০ তারিখ রাত ১ টার সময় অর্জুন মহেশ্বরীকে প্রথমে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, আগুনের জেরে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরের এসিটি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনায় তান্ত্রিক যোগ থাকতে পারে। এ জে ব্লকের ২২৬ নম্বরের যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন সেই বাড়ির ঢোকার গেট থেকে শুরু করে ঘরের ভিতরে ত্রিশূল সহ বেশ কিছু তন্ত্রসাধনার জিনিস রয়েছে যা পুলিশকে ভাবাচ্ছে। এছাড়া ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় জানা গেছে, হলঘরে চেয়ারে বসিয়ে দেহ পোড়ানো হয়। গন্ধ আটকাতে কর্পূর, ঘি মাখিয়ে দেহ পোড়ানো হয় বলেও অনুমান। তবে শুধু তন্ত্রসাধনা না এই খুনের পিছনে আরও বড় কোনও কারণ আছে তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবার ধৃত গীতা মহেশ্বরী ও তার ছেলে বিদুর মাহেশ্বরীকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সল্টলেকের এ জে ব্লকের একটি বাড়ি থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বাড়ির মালিক ও মৃতের বাবা অনিল মাহেশ্বরীর অভিযোগের ভিত্তিতে গীতা মাহেশ্বরী ও ছোট ছেলে বিদুরকে গ্রেফতার করে পুলিস।
Post a Comment
Thank You for your important feedback