রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এরপর নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রসারে নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ২০টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দেওয়া হল বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

 

পাশাপাশি তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো জমি চেয়ে আবেদন করেছিল, তাঁদেরও জমি দেওয়া হয়েছে। ইনফোসিস আরও একটি ইউনিট খুলতে চায় কলকাতার কাছে। তাঁদেরও জমি দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে আগামীদিনে রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বড় জোয়ার আসতে চলেছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


 


পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোট। বছর ঘুরলেই ভোটের ময়দানে নামবে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল। ফলে বছরের শেষদিকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের দিশা দেখালেন বলে কটাক্ষ বিরোধীদের। উল্লেখ্য, গতবছরই নিউটাউনে একশো একর জমিতে সিলিকন ভ্যালি তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

 এদিন তিনি নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে একশো একর জমি দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম খালি পড়ে থাকবে, কেউ আসবে না। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেগুলি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।  আরও একশো একর জমির দাবি এসেছে। তাই আরও একশো একর জমি দিলাম’। তিনি আরও বলেন, ২০টি আইটি শিল্পসংস্থাকে জমি দেওয়া হল এদিন। যার ছাড়পত্র মন্ত্রিসভার বৈঠকে হয়েছে। ফলে মূল শিল্পের পাশাপাশি সহযোগী শিল্পও গড়ে উঠবে। আর এতেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজার হাজার কর্মসংস্থান হবে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

 


 

তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসকে সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ে তোলার জন্য আহ্বান করেছিল রাজ্য সরকার। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে তাঁরা। আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ইনফোসিস ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দেবে। এরপরই কাজ শুরুর অনুমতি দেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর আশা ইনফোসিসের এই প্রকল্প আগামী ২৪ মাসের মধ্যেই শেষ হবে। শুধু কলকাতা নয়, শিলিগুড়িতেও একটি বড় সিমেন্ট কারখানাকে জমি দেওয়া হল এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে। সেখানে কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

 শিল্প ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জমির বকেয়া খাজনা নিয়েও বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনের জেরে সাধারণ মানুষের আর্থিক সমস্যার কথা চিন্তা করে জমির খাজনার সুদ মকুব করা হল। ২০২১ সালে জুন মাসের মধ্যে ওই বকেয়া খাজনা জমা করলে কোনও সুদ দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post