বুধবারই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, ইন্টারভিউ ১০ জানুয়ারি থেকে


প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, বুধবার অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বরই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ইন্টারভিউ শুরু হবে ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি, চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল তৈরি করা হবে। নতুন নিয়োগের আশার কথা শোনানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি অফলাইনে তৃতীয় টেট পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষায় বসবেন প্রায় আড়াই লক্ষ আবেদনকারী।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বদলি নিয়েও সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে শিক্ষক ও পুলিশকর্মী-আধিকারিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নিজের জেলা বা বাড়ির কাছাকাছি বদলির। এদিন তাঁদের জন্য সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, ‌‘১৫ বছর ধরে কর্মরত ‌হোমগার্ড, কনস্টেবল, এসআই-এর মতো পুলিশকর্মীরা নিজের জেলায় ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। যতটা সম্ভব আমরা করে দেব বলেছি’। তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত পুলিশকর্মীদের থেকে প্রায় ৫০ হাজার আবেদন এসেছে। তার মধ্যে ৩৫ হাজার পুলিশকর্মীকে তাঁদের পছন্দের জেলায় বদলি করা হয়েছে। আবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের বদলির ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি জানান, কিন্তু অধিকাংশ সময়ই দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকের শূন্যপদ তাঁদের পছন্দের জেলায় নেই। কিন্তু যেখানে কর্মখালি রয়েছে সেখানে শিক্ষকদের বাড়ির কাছে বদলি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ১০,১৬৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিজের বাড়ির কাছাকাছি বদলির আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৪৬৬ জনের বদলি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের মধ্যে ৫৫০২ জনের আবেদন জমা পড়েছে, এরমধ্যে ৩,৮৫২ জনের বদলির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফারের দরখাস্ত জমা পড়েছিল ৪৫৯৪টি। যার মধ্যে ৪৪৯০টি আবেদন গৃহীত হয়েছে।

এদিনই অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপরিসংখ্যানই বলছে, ১০০ দিনের কাজ, গ্রামাঞ্চলের হাউজিং, রাস্তা, এমএসএমই সেক্টর, সংখ্যালঘু বৃত্তিতে এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। এমনকী দারিদ্র দূরীকরণ, ই-টেন্ডারিং, ই-গভর্নেন্সের মতো পরিষেবাতেও এই রাজ্য শীর্ষে। দেশে জিএসডিপি যেখানে ৪.১৮ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে তা ৭.২৬ শতাংশ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে জিভিএ ভারতে ৩.৮৯ শতাংশ হলেও, বাংলায় ৭.৩৩ %। শিল্প দেশে ০.৯২ %, বাংলায় ৫.৭৯ %। পরিষেবা ক্ষেত্রে দেশে ৫.৫৫ %, বাংলায় ৯.২৬ %। কৃষিতে দেশ ৪.০৫% বাংলায় ৪.৭৪%। এফডিআই বেড়েছে ৭৭৬ %।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post