‘দলের চারটি জেনারেশন তৈরি আছে’, নাম না নিয়ে শুভেন্দুকে বার্তা মমতার


লড়াই করতে হবে, ভয় পেলে চলে যাও। আমি তাঁদের ঘৃণা করবো না। দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বকে এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নন্দীগ্রাম ও নন্দকুমার ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং কাঁথি, রামনগর-সহ আশেপাশের এলাকায় দলে থেকে যাঁরা দলের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 তাঁর আরও বার্তা, যাঁদের সাহস আছে, সঙ্গে থাকুন। না হলে লুঠেরাদের কাছে চলে যান। এদিন দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও বিঁধেছেন। মমতার কথায়, ‘দলের চারটি জেনারেশন তৈরি আছে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই’।  তিনি কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন, শুভেন্দু অনুগামীদের দল বিরোধী কাজকর্ম তিনি আদৌ বরদাস্ত করবেন না।

 উল্লেখ্য, শুভেন্দুর বাবা তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি। সূত্রের খবর, তাঁকেই কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এমনকি যারা দলবিরোধী কাজে যুক্ত তাঁদের চিহ্নিত কর প্রয়োজনে বহিস্কারও করার নিদান দিয়েছেন এদিন। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর নাম না করেই তৃণমূল নেত্রীর কড়া বার্তা, ‘আমার একজন চলে যাবে, এক লক্ষ সম্পদ তৈরি হবে। যাঁরা এজেন্সির ভয়ে অন্যত্র যাচ্ছেন আমি তাঁদের পছন্দ করি না’।
অপরদিকে এদিনের ভার্চুয়াল সভা থেকে দলের আগামী দিনের কয়েকটি কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। আগামী ১০ ডিসেম্বর নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নিজেই উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। 

পাশাপাশি জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই শুরু হবে জেলা ওয়ারি কর্মসূচি। এরপর উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় ও পরে উত্তরবঙ্গে। ৬ ডিসেম্বর ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি দিবস পালন করবে তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী এদিন জানান, ১১ থেকে ২১ ডিসেম্বর হবে বঙ্গধ্বনি অভিযান। প্রায় এক কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। মূলত গ্রামে গ্রামেই হবে এই অভিযান। 

কৃষি আইনের বিরোধিতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আগামী ৮,৯ ও ১০ ডিসেম্বর তিন দিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। শেষদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই থাকবেন সেখানে। ফলে দলে বিদ্রোহ বা দলবিরোধী কাজ যে তিনি একেবারেই বরদাস্ত করবেন না সেটা পরিস্কার করে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে একটা কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রচারের সুরও চড়ালেন তিনি।  

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post