অবিলম্বে কৃষি আইন প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র, টুইট মমতার

নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি টুইট করে এই আইনকে ‘অ্যন্টি ফার্মার বিল’ বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। টুইটে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এই রাজ্যেও আন্দোলন গড়ে তুলতে শুক্রবার বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, দেরিতে ঘুম ভাঙলো তৃণমূল নেত্রীর। তাঁর প্রশ্ন, এতদিন কী করছিলেন তিনি? অন্যদিকে, কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য অবিলম্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ডাকার দাবি করেছেন। 


এর আগে নবান্নে বিভিন্ন সময়ের সাংবাদিক বৈঠকে নতুন কৃষি আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, নতুন এই আইন কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, পাশাপাশি কালোবাজারিদের সাহায্য করবে। বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং আন্দোলনকারী কৃষকরা। এরমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী টুইট করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই সঙ্গে চাপও বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘আমি কৃষি আন্দোলন নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় সরকার এখনই নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করুক। অন্যথায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা আন্দোলনে নামব’। 


উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকে সরব হলেও পাল্টা আইনের পথে হাঁটেননি মুখ্যমন্ত্রী। যদিও পাল্টা আইন নিয়ে আলোচনা চেয়ে ইতিমধ্যেই বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলার দুই বিরোধী দল-বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। পাশাপাশি একই দাবিতে তাঁরা চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকেও। কিন্তু এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বৃহস্পতিবার টুইট করে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে তিনি সরকারি সংস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগেরও তীব্র আপত্তি তোলেন। এদিন টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমরা দেশের সম্পত্তিকে বিজেপির ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হতে দেব না’। উল্লেখ্য, সংসদের গত বাদল অধিবেশনে তিনটি কৃষি বিল  পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের দাবি, চাষিদের স্বার্থেই নয়া আইন কার্যকর করা হয়েছে। নতুন এই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২৭ নভেম্বর ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। যা নিয়ে দিল্লি কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছে। 


ওই আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েই এদিন মমতা লেখেন, ‘আমি কৃষকদের জীবন ও জীবিকা সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রকে অবশ্যই কৃষক বিরোধী বিল প্রত্যাহার করতে হবে। আর এখনি  তা না হলে আমরা রাজ্য ও দেশজুড়ে আন্দোলন করব। প্রথম থেকেই, আমরা এই কৃষকবিরোধী বিলগুলির তীব্র বিরোধিতা করে আসছি’। মমতার এই টুইটের পর রাজনৈতিক মহলের অভিমত, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এটিকে অন্যতম ইস্যু করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনে পথে নেমে তিনি কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধেই সুর চড়াবেন।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post