কী খেতেন সিন্ধু সভ্যতার সময়ের মানুষ ? গবেষকরা জানাচ্ছেন, তখন বেশি চল ছিল মাংস খাওয়ার। গোমাংস, শুওরের মাংসই বেশি খেতেন তাঁরা। বুধবার জার্নাল অফ আর্কিওলজিকাল সায়েন্সে প্রকাশিত নিবন্ধে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অক্ষেতা সুব্রহ্মণ্যম। হরপ্পায় মাটির পাত্রে লেগে থাকা লিপিড বা ভুক্তাবশিষ্টের স্থায়ী চিহ্ন পরীক্ষা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে, শূওর, ভেড়া. ছাগল, গরুমোষ ছাড়াও দুগ্ধজাত খাবারের প্রমাণ মিলেছে। বর্তমানের হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে পাওয়া সিন্ধুসভ্যতার সময়কার মৃৎপাত্র পরীক্ষা করা হয়েছে।
খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ থেকে ১৯০০ পর্যন্ত এখনকার পাকিস্তানের একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চল ছাড়াও পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম ভারত ও আফগানিস্তানে ছড়িয়ে ছিল সিন্ধু সভ্যতা। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের আলমগিরপুর, হরিয়ানার হিসারের মাসুদপুর, লোহারি রাঘো, ভিওয়ানিক খনক, রোহতকের ফারমানা, হিসারের রাখিগড়ি গ্রামে এই অনুসন্ধান চালানো হয়। মোট ১৭২টি মৃসিন্ধুসভ্যতার সময়কার মাটির পাত্রে পরীক্ষা চালানো হয়। এর আগেও সিন্ধুসভ্যতার সময় খাদ্যাভ্যাস নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হলেও সেগুলি ছিল শুধু বার্লি, গম, চালের মতো শষ্যের উপর। এছাড়াও বেগুন, কুমড়ো, আঙুর, খেজুরের প্রমাণও মিলেছে।
এবারের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাবারের ৭০ ভাগই প্রাণীর মাংস। সবথেকে বেশি গরুমোষ ও ছাগলভেড়ার। হরপ্পায় সাড়ে তিনবছর পর্যন্ত ৯০ শতাংশ গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখা হত। ততদিন গরুর দুধ খাওয়া হত। মাংসের মধ্যে হরিণ, অ্যান্টিলোপ, পাখি, খরগোশ, মাছও পাওয়া গিয়েছে। প্রচুর হাড়ও পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback