সোমবারই উত্তরবঙ্গে উড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে মুখ্যমন্ত্রী সোজা পৌঁছে যাবেন জলপাইগুড়ি। সেখানেই রাত্রিবাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরে একটি রাজনৈতিক সমাবেশ করে তিনি কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেবেন। আরও জানা গিয়েছে, এই সফরে তিনি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সব ধরনের সভাই করবেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল নেত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক মহল।
এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ঘোষণামতো চা-সুন্দরী প্রকল্প বিশদভাবে ঘোষণা করবেন তিনি। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই চা-সুন্দরী প্রকল্পের জন্য উত্তরবঙ্গের সাতটি চা-বাগানের ৩,৬৯৪ জন শ্রমিকের নামের তালিকা তৈরি করেছে রাজ্যের শ্রম ও আবাসন দফতর। এর জন্য জমিও চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ভোটের আগেই আবাসন তৈরির কাজ শুরু করে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সাতটি চা-বাগানের উদ্বৃত্ত যে জমিতে বর্তমানে শ্রমিদের ঝুপড়ি রয়েছে, সেখানেই তৈরি হবে এই আবাসন প্রকল্প।
এছাড়া কোচবিহারে মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আগের ঘোষণামতো রাজ্য পুলিশের নারায়ণী ব্যাটালিয়নের সূচনাও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কোচবিহারেও একটি দলীয় জনসভাতে ভাষণ দেবেন তৃণমূলনেত্রী। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, গত লোকসভায় বিপর্যয়ের পর থেকে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামেনি। উল্টে দলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কোচবিহার-দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে উত্তরবঙ্গ নিয়ে চাপে থাকা তৃণমূল নেত্রী এই সফরে বড় কিছু ঘোষণা করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারেন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback