বড়দিনে উপচে পড়ল ভিড়, নেই মাস্ক, নেই দূরত্ববিধির বালাই


দুর্গাপুজো, কালীপুজো ভালোয় ভালোয় মিটেছে। এবার বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসব। শুক্রবার গোটা বিশ্বের সঙ্গে এই রাজ্যেও পালিত হচ্ছে বড়দিন। ছুটির দিনে শীতের রোদ গায়ে মেখে তাই অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন ইতিউতি ঘুরতে। বড়দিনের চিড়িয়াখানায় এদিন ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতোই। ভিড় রয়েছে ইকো পার্ক, নিকো পার্কের মতো বিনোদন পার্কেও। কিন্তু বহু মানুষের মুখে নেই মাস্ক, দূরত্ববিধিও শিকেয় উঠেছে ভিড়ের ঠেলায়।

 বড়দিনের সাজে প্রতিবছরের মতোই সেজে উঠেছে কলকাতার আইকন পার্ক স্ট্রিট। এই রাস্তার ধারে অ্যালেন পার্কে প্রতিবছরই ধুমধাম করে পালিত হয় বড়দিন। আলোর মালায় সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট, আর সেই দৃশ্য চেটেপুটে নিতে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই ভিড় উপচে পড়ল সেখানে। 


রাত যত বেড়েছে ভিড় ততই বেড়েছে। যদিও রাত ১২টার পর থেকে পুলিশ জমায়েত সরিয়ে দেয়। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত চেনা-পরিচিত ছন্দেই থাকল পার্ক স্ট্রিট। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন, দলবেঁধে সেলফি তুলছেন, হই-হুল্লোড় করে এদিক ওদিক ঘুরছেন সবই দেখা গেল প্রাক বড়দিনের সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত।

 

শুক্রবার সকাল থেকেই অনেকে বেরিয়ে পড়েছেন ঘুরতে। যদিও ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডেল চার্চের সহ কলকাতার বহু চার্চেই এবার সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু তাবলে ভিড় থেমে থাকল না, সেই ভিড় আছড়ে পরল চিড়িয়াখানায়। 


 করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করেই আলিপুর জু-তে আট থেকে আশির ভিড় দেখা গেল এদিন। অনেকেরই মুখে সঠিক জায়গায় নেই মাস্ক, ঝুলছে থুতনি বা গলায়। গিজগিজে ভিড়ে বোঝাই দায়, করোনার আতঙ্ক বলে কিছু রয়েছে। একই চিত্র নিউটাউনের ইকো পার্কেও। তবে এখানে ঢোকার ক্ষেত্রে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ। 

বড়দিনে মানুষের ঢল নামলেও ইকো পার্কে গত বছরের তুলনায় ভিড় অনেকটা কম বলেই দাবি করলেন কর্তৃপক্ষ। শহরের অপর বিনোদন পার্ক নিকো পার্কেও ভিড় ছিল এদিন। বিনোদন পার্কে প্রবেশ পথে লম্বা লাইনে ছিল না কোনও দূরত্ববিধি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবে লাগাম টানা গেলেও বড়দিন ও বর্ষবরণে সেই লাগাম অনেকটাই আলগা। ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভিড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালে আশ্চর্য হওয়ার কারণ নেই।
 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post