এবার বেসুরো রাজীব, বললেন ‘যারা স্তাবকতা করে তাঁরা প্রথম সারিতে’


শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার রাজ্যের আরেক মন্ত্রীর গলায় উল্টো সুর শোনা গেল। মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার এক অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা স্তাবকতা করেন তাঁরা প্রথম সারিতে আসেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পথে নামতে ইচ্ছে করে। অনেকে রাজনীতির প্লাটফর্মকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করে। 

এরপরই আক্ষেপের সুরে রাজীব বলেন, যখন যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি, সঙ্গে সঙ্গে পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যে মুখগুলোকে মানুষ দেখতে চায় না, দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারে না যাঁরা, সত্যি কথা বলতে পারে না, তাঁরা স্তাবক বলে সামনের সারিতে আনা হচ্ছে। এ কী যন্ত্রণা বোঝাতে পারব না! 


 


তিনি আরও বলেন, এখন স্তাবকতার যুগ, অর্থাৎ হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর না তে না মেলাতে হবে। এরপরই তাঁর কটাক্ষ, যারা মানুষকে বোকা ভাবে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। সময় এলে মানুষ তাঁদের টের পাইয়ে দেবে বলেও জানিয়ে দেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজীবের বক্তব্যে হতাশা ঝড়ে পড়েছে প্রতি ছত্রে। তাঁর কথায়, অনেক সময় ভাবি, যখন মানুষ ডাক দেয় তখন ভাবি দুঃখ ভুলে মানুষের জন্য কাজ করব। এতে রাজনৈতিক সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। 


 

রাজীবের কথায়, এই জন্যই রাজনীতিতে শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে। বনমন্ত্রীর সাফ বার্তা, কেন এত ক্ষোভ-বিক্ষোভ, সেটা দলের অনুসন্ধান করা উচিত। যত তাড়াতাড়ি ভাববে তত মঙ্গল। উল্লেখ্য, এর আগেও একবার দলের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে হাওড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পর সমস্যা মেটে। কিন্তু শুভেন্দু ইস্যুতে দলের অভ্যন্তরে যে এখনও অনেকেই অসন্তুষ্ট সেটা ফের বোঝা গেল রাজীবের বক্তব্যে।

     

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post