সাতসকালে নদীর ঘাট থেকে এক ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার এক্তেশ্বরে। ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের। বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকায় একাধিক অবৈধ মদের ঠেক রয়েছে। ওই যুবকের খুনের নেপথ্যে এই বিষয়টিও থাকতে পারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিএসপি। তদন্তের স্বার্থে নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুরও। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও।
স্থানীয়
সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রাজীব দেওঘরিয়া। বছর ২৫-এর এই যুবকের পাড়ার
মোড়েই একটি দোকান রয়েছে। মৃতের দিদি টুম্পা ভট্টাচার্য জানান, প্রতিদিন
বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকানেই থাকতেন রাজীব। এরপর বাড়ি ফিরে
আসতেন, তবে কখনও কখনও পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতেও রাতে থেকে যেতেন। শনিবারও
ভাই বাড়িতে না ফেরায় তাঁরা ভেবেছিলেন তিনি ওখানেই রয়েছেন। কিন্তু সকালেও
বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এরপরই রবিবার সকালে রাস্তার
পাশে দারকেশ্বর নদীর ঘাট থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের
অভিযোগ, দোকান থেকেই কেউ তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। তাঁর মাথায় চোট
রয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকার অবৈধ মদের
ঠেকের বিষয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই
ওখানে পরপর ৩টি মদের আখড়া চলছে। সেখান থেকে মদ কিনে রাস্তায় বসেই মদ্যপান
করত এলাকার কয়েকজন। বারবার পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। এই খুনের ঘটনায় ওই
দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলেই অনুমান তাঁদের। অবিলম্বে ওই ঠেকগুলির বিরুদ্ধে
পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন,
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback