করোনা নিয়ন্ত্রণে মায়ানমার সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা তাইল্যান্ডে

বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে এবার সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল তাইল্যান্ড, থাকবে ড্রোনের নজরদারিও। সরকারি আধিকারিকদের মতে, করোনা আবহে কমপক্ষে ১৬ জন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছেন। তাঁদের অনেকেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনও মানেননি। এরপরই নভেম্বরের শেষে তাইল্যান্ডে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আর মায়ানমার থেকে আসা ওই দলের থেকেই এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। 

সূত্রের খবর, নতুন করে প্রায় ১২টিরও বেশি করোনা পজিটিভ কেসের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মায়ানমারের একটি শহরের নাম জড়ানোয় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে তাইল্যান্ড। ড্রোন ও আলট্রাভায়োলেট ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয়েছে নজরদারির জন্য। 

অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবারই তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওছা সরকারি আধিকারিকদের সীমান্তে ব্যারিকেড তৈরির নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল জানান, করোনা পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মায়ানমার থেকে যাঁরা ফিরেছেন তাঁদের মধ্যে যাদের সংক্রমণ হয়েছে সেই সংখ্যার নিরিখে দেশে সেকেন্ড ওয়েভ এসেছে, সেটা বলা যায় না। 

তবে তাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তই এখন তাইল্যাণ্ডের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই সীমান্ত এলাকার বেশিরভাগ অঞ্চলই পাহাড়, জঙ্গল এবং জনশূন্য এলাকা। ১৫০০ মেইল জুড়ে থাকা এই এলাকায় নজরদারি রাখা যথেষ্ট কঠিন। এবার এখানেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন প্রশাসন।   

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم