শুরু হল কৃষকদের চাক্কা জ্যাম। দিল্লির সীমান্তে হাজার হাজার কৃষক জড়ো হয়েছেন। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল এগারোটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত চলবে এই অবরোধ। গোটা দেশে বনধের মিশ্র প্রভাব সকাল থেকেই। বিহারে আরজেডি জেহানাবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করছেন। মহারাষ্ট্রের পুনে, নাসিক, নাগপুর, ঔরঙ্গাবাদ, কল্যাণ ও নবি মুম্বইয়ের ভাসিতে বন্ধ রয়েছে পাইকারি কৃষক মন্ডি।
বনধের বড় প্রভাব পড়েছে ছত্তিশগড়ে। সে রাজ্যে বিক্ষোভের নেতৃত্বে কংগ্রেস। বেশিরভাগ দোকান, বাজার, অফিস খোলেনি। সব শহরই জনবিরল। পাঞ্জাবে বন্ধ সব বড় দোকান-বাজার। এই বনধে শামিল শিরোমনি আকালি দল, কংগ্রেস ও আমআদমি পার্টি। পাঞ্জাবে ৫০ হাজার সরকারি কর্মী গণছুটি নিয়েছেন। বন্ধ গুরদ্বার প্রবন্ধক কমিটির অফিসও। দিল্লিতে সাঙ্ঘু এবং গাজিপুর সীমান্তে এলাহি পুলিশি বন্দোবস্তের মধ্যেই শুরু হয়েছে চাক্কা বনধ। সেখানে বন্ধ করা হয়েছে সব রাস্তা। গুজরাতেও অবরুদ্ধ তিনটি হাইওয়ে। বহু জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। ভারুচ ও দহেজের মধ্যেকার হাইওয়ে বন্ধ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সব রাজ্যকেই এই বনধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। রেল ১৬টি রাজ্যে রেল রোকো-র আশঙ্কা করছে। বনধকে সমর্থন করছে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রাসপোর্ট কংগ্রেস। ফলে মাল পরিবহণে ব্যাপক বিঘ্নের সম্ভাবনা। সমর্থন জানিয়েছে রেলের কর্মী সংগঠনও। পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। কালো ব্যাজ পরবেন ব্যাঙ্ককর্মীরা।
কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকের এম কে স্ট্যালিন, ইএডজিডি-র ফারুক আবদুল্লা যৌথ বিবৃতিতে এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে কৃষক নেতাদের সাফ কথা, রাজনৈতিক নেতারা সমর্থন করতে পান। তবে তাঁদের মঞ্চে কোনও দলের পতাকা থাকবে না।
Post a Comment
Thank You for your important feedback