জেলে বসেই মোদি-মমতাকে ‘বিস্ফোরক’ চিঠি সুদীপ্ত সেনের


বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সারদা চিটফান্ড মামলার মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন। এবার সেখানে বসেই তিনি এবার চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সেই চিঠি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পিএমও এবং নবান্নে সিএমও-তে পাঠিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চিঠিতে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন রাজ্য রাজনীতিতে। 


জানা গিয়েছে, চিঠিতে সারদার কর্ণধার কাকে কাকে কত টাকা দিয়েছিলেন তাঁর বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। সূত্রের খবর, চিঠিতে নাম রয়েছে বিভিন্ন দলের নেতাদের। সারদার টাকা কার কার ঘরে গিয়েছিল সেটাই চিঠিতে বিস্তারিত জানিয়েছেন তৃণমূল ত্যাগী এক নেতা ছাড়াও তৃণমূলের একজন, সিপিএমের দুইজন ও কংগ্রেসের এক শীর্ষনেতার নাম রয়েছে তাতে। জেলবন্দি সারদা কর্তা। তিনি এও জানিয়েছেন, মূলত সারদার ব্যবসা চালাতেই তাঁকে টাকা দিতে হয়েছিল। মূলত বাম আমলেই সারদা চিটফান্ডের রমরমা হয়েছিল। 


 


রাজ্যের কারা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১ ডিসেম্বর তিনি চিঠিটি লেখেন। নিয়ম মেনে সেই চিঠি জেল সুপারের মারফত আসে কারা দফতরের এডিজি-র কাছে। সেখান থেকেই চিঠিটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় পিএমও এবং সিএমও-তে। এই চিঠির বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, চিঠির একটি কপি তাঁদের হাতেও পৌঁছেছে। তবে চিঠির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, চিঠিটির বয়ান সুদীপ্ত সেনের কিনা এবং তাঁরই হাতের লেখা কিনা যাচাই করবে সিবিআই। 


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সারদা চিটফান্ডকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল একটি অডিও ক্লিপ। এবার এল সারদা কর্তার লেখা চিঠি। অপরদিকে, রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের মুখে এই চিঠি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে। বিরোধী শিবিরের দাবি, চিঠিতে কোনও শাসকদলের নেতার নাম নেই। যাদের নাম রয়েছে তাঁরা সকলেই হয় বিরোধী দলের না হয় বিদ্রোহী। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তবে চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার নিয়ে নবান্নের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।


       

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post