মিলেছে শুধু আশ্বাস, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা শেরপুরবাসীর

স্বাধীনতার পর কেটে গেছে প্রায় সাত দশক, আজও তৈরি হয়নি কোনও পাকা সেতু। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা রায়গঞ্জের শেরপুর অঞ্চলের বাসিন্দাদের। নদীর ওপারেই রয়েছে স্কুল, হাসপাতাল সহ নানা সরকারি দফতর। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই খলসিঘাটে কুলিক নদীর ওপর এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে প্রতিবার আশ্বাস দেন নেতারা। কিন্তু বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনও সুরাহা হয়নি।    

রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল, শেরপুর, জগদীশপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষকে কার্যত এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দাদের মতো বসবাস করতে হচ্ছে। কুলিক নদী ওপারে রয়েছে পঞ্চায়েত দফতর সহ একাধিক স্কুল। গ্রামবাসীরা জানান, যেকোনও সরকারি কাজের প্রয়োজনে নদী পেড়িয়েই যেতে হয় তাঁদের। এমনকি প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার জন্যও নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা ছোট ছোট পড়ুয়াদের। শুধু তাই নয় রাতে কোনও মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলেও রীতিমত নাজেহাল হতে হয়।

বছরের অন্যান্য সময় তাও নদী পার করা গেলেও বর্ষার সময় জল বেড়ে গেলে নদী পার হওয়া দুষ্কর হয়ে যায় গ্রামবাসীদের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার খলসিহাটে নদীর উপর দিয়ে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। তাই গ্রামবাসীরা নিজের উদ্যোগেই চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। এব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে দাবি তুলেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। দাবি মানা না হলে এবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। 

এবিষযয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ পূর্ণেন্দু দে বলেন, খলসিঘাটের ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ৫০ মিটার দূরে একটি  ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্ব দেয় পূর্ত দফতরকে। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ভোট আসে, ভোট যায়। প্রতিবারই ব্রিজ নির্মাণের জন্য গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আগামী দিনে এই ঘাটে ব্রিজ নির্মাণে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন এলাকার বাসিন্দারা।  

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post