এখানে ধর্মের ব্যাপার নেই, আছে শুধু শিশুদের আনন্দ। সমস্ত স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ, বাচ্চারা গৃহবন্দি। ফলে উৎসব কিংবা উৎসাহ সবই বাবা মা অথবা দাদু ঠাকুমাকে নিয়েই। কিন্তু বাংলা স্কুল হোক বা মিশনারি অথবা ইংরেজি মিডিয়াম, সর্বত্রই শিক্ষকরা বলেন ২৪ ডিসেম্বরের গভীর রাতে বা ক্রিসমাস ডের আগের রাতে জিঙ্গল বেল নিয়ে সান্তাক্লজ শিশুদের বাড়িতে এসে উপহার দেবেন। বিশ্বের সর্বত্র শিশুরা আশা করে থাকে, কখন আসবে ওই সাদা দাড়িওয়ালা লাল পোশাকের সান্তাক্লজ! এই সান্তা থাকে কোথায়, প্রশ্ন বাবাকে। কিন্তু করোনা আবহে সবই ভুলতে বসেছে শিশুরা, না পাওয়ার জগতে তারা আর কিছু আশা করে না।
তবু সান্তা কি বসে থাকবে ? সে আসবে না শিশুদের উপহার নিয়ে ? নিশ্চয়ই আসবে, তবে মায়েরা যে বড় মোজা খাটের পাশে ঝুলিয়ে রাখত সেই মজাটা আজ ছোট হয়ে যাবে, দেশে দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি তো সান্তা জানে। তারপর গভীর রাতে খান কতক চকোলেট আর একটা বিস্কুটের প্যাকেট আর ছোট কোনও খেলনা হয়তো থাকলেও থাকতে পারে। তবে তৈরি খাবার নয়, গ্যাসের দাম বেড়েছে যে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback