পিপিপি মডেলে তৈরি অন্ডাল বিমানবন্দরের বেশিরভাগ শেয়ার নিল রাজ্য সরকার। ৪৭.৪৩ শতাংশ শেয়ার এল রাজ্যের হাতে, আগে তা ছিল ২৬ শতাংশ। রাজ্যের অধীনে অধিকাংশ শেয়ার থাকায় বিমানবন্দরের কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সরকারি কর্তৃত্ব থাকবে বেশি। মঙ্গলবার রানিগঞ্জে মমতা জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, জমিদাতাদের প্রত্যেককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তৃণমূল সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার আগে অন্ডালে বিমানবন্দরের জন্য পিপিপি মডেলে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। অন্ডালে কাজি নজরুল বিমানবন্দর চালুর পরও সেভাবে আয় না হওয়ায় তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে বিমানবন্দরটিকে ফের চাঙা করে তুলতে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করল।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, চুক্তি অনুযায়ী, যাঁরা ৩৩ ডেসিমেলের বেশি জমি দিয়েছিলেন, তাঁরা বদলে জমিই পাবেন নতুন জায়গায়। আর বাকিরা আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। সেইমতো এদিন ১,৫২৯টি কৃষক পরিবারকে জমি দেওয়া হয়েছে। ২১৪৩টি পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। আরও ২১৫২টি পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, বিমানবন্দরকে সচল রাখতে রাজ্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback