রাজ্যের বেশিরভাগ পুরসভা এবং কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে বহু মাস আগেই। সেখানে প্রশাসক বসিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সবক্ষেত্রেই শাসকদলের ঘনিষ্ঠরাই প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের। যেমন কলকাতা পুরনিগমে বর্তমানে ফিরহাদ হাকিমই মূখ্য প্রশাসক। পুরভোট না করিয়ে এভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে মামলাও হয় বেশ কয়েকটি। একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার আইনসঙ্গত কাজই করেছে। ফলে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।
এই আবেদনের শুনানিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাজ্য সরকারের জবাবদিহি চেয়েছে। কবের মধ্যে পুরভোট করা সম্ভব, সেটা দশদিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউলের বেঞ্চ রাজ্যকে এই নির্দেশ দেয়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারকে নিজেদের লিখিত মতামত দিতে হবে। রাজ্যের যুক্তি ছিল করোনা আবহের জন্যই রাজ্যে ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর যে কোনও সময় ভোট করানো যেতে পারে। এখন দেখার দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে কি বলে রাজ্য সরকার। আবার আগামী এপ্রিল-মে মাস নাগাদ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে বলেই প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তখনই বকেয়া পুরভোট হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback