রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিশাল মিছিল ও জনসভা করার ফাঁকেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী একান্তে কথা বলেছেন সিএন নিউজের সঙ্গে। সিএনের ক্যামেরার সামনেই তিনি তোপ দাগেন, পুরোনো দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । আবার তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূল যুব সভাপতিকেও এক হাত নিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের এই লোকসভা থেকেই সাংসদ হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই মাটি ইতিমধ্যেই বিজেপির তৈরি করা মাটি। যে তুফান তৈরি হয়েছে আমি তাকেই সুনামি করতে এসেছি। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উদ্দেশ্যে একের পর এক অভিযোগ তুলে দাবি করেছেন, ভাইপো তোলাবাজ প্রমাণ করতে পারলে তিনি ফাঁসিতে যাবেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'সব প্রমাণ হয়ে যাবে, বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।'
শুভেন্দুর আরও দাবি, যেকোনও রাস্তায়, বালি
খাদান, কয়লা-পাথর খাদানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন সাধারণ
মানুষ। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগণার সীমান্তে গিয়ে জানতে চান কে
গরু পাচার করছে? কোথা থেকে তোলা উঠছে আর পুলিশ সেই তোলা কোথায় পৌঁছে
দিচ্ছে? যে কেউ বলে দেবেন, আমাকে বলতে হবে না। এটা ঘরে ঘরে জেনে গেছে।
তৃণমূল ছাড়ার পরই বারবার তাঁকে বিশ্বাসঘাতক ও মিরজাফর বলে কটাক্ষ করেছেন
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, এদিনের সভা থেকেও একই মন্তব্য করেন অভিষেক। এর
উত্তরে শুভেন্দু জানান, 'আমি তৃণমূলের সব পদ, মন্ত্রিত্ব, দলের সদস্যপদ
ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। বিজেপি আমাকে গ্রহণ করেছে। একজন ভারতবর্ষের
নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের অধিকার আছে।' এরপরই সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, উনি
ওঁনার "পিসিমনি"-কে জিজ্ঞেস করুন, কেন তিনি ৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন।
তৃণমূলের
তরফে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীর বিরুদ্ধে গুন্ডাগিরির
অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ডায়মন্ড হারবারের গত
লোকসভায় ভোট করতে দেয়নি। পঞ্চায়েতের ভোট হয়নি। কে গুন্ডাগিরি করে তা
বোঝাই যাচ্ছে। পায়ে কাঁটা ফুটলে সবাই লাফায়। একদিকে বলছে হাজার শুভেন্দু
তৈরি করব, কে শুভেন্দু অথচ বারবার ব্যক্তিআক্রমণ করছে। মানুষ দেখছেন আমাকে
আক্রমণ করা মানে গ্রামবাংলাকে আক্রমণ, জেলাকে আক্রমণ। মানুষ এর জবাব
দেবেন। এদিন দাঁতনের কর্মসূচিতে কার্যত জনসমুদ্রে ভেসে গিয়েছিলেন
শুভেন্দু অধিকারী।
Post a Comment
Thank You for your important feedback