কৈলাশের ফোন শুভেন্দুকে, বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন শীঘ্রই


বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা বাংলার অন্যতম পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ফোন করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। দুজনের মধ্যে মিনিট তিনেকের বেশি কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সিএন-কে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই ফোন করেছিলাম। শুভেন্দু ও তাঁর পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনাও করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তবে তিনি কবে বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা। তবে সূত্রের খবর, শনিবারই বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক।

মঙ্গলবার জন্মদিন শুভেন্দু অধিকারীর। এদিনই হলদিয়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তের জন্মদিন উপলক্ষে একটি অরাজনৈতিক সভা যোগ দেন শুভেন্দু। এই সভা থেকেও ফের নাম না করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর তোপ, ‘গণতন্ত্রের মানে ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল। কেন ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি হবে?’  এরপরই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘আমি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেও লোকে আমার সভায় আসে। বাংলায় কেউ বহিরাগত নয়’।


 

 তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ পছন্দ করি না। যাঁরা পদে আছেন, তাঁদের অনেকেই আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চলেছেন। সাধারণ মানুষের আঙুলটা এমন জায়গায় পড়বে যে অনিল বসু, লক্ষ্মণ শেঠদের মতো অবস্থা হবে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘নন্দীগ্রামের আন্দোলন কারও ব্যক্তিগত বা কোনও ব্যক্তির আন্দোলন ছিল না। সেটা মানুষের আন্দোলন ছিল। আর ওই আন্দোলনে জয়ী হয়েছে নন্দীগ্রামের মানুষই’। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ঘুরিয়ে তৃণমূলনেত্রীকেই বিঁধলেন। সভায় বিশাল জনসমাগম দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এই যে এত মানুষ এসেছেন, তাঁদের কংগ্রেস, সিপিএম বা বিজেপি আনেনি। মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এত সহজে ভাঙা যাবে না’। 


 


সবমিলিয়ে জন্মদিনেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলে তিনি ফিরবেন না, মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের আগে থেকেই একের পর এক অরাজনৈতিক সভা করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর প্রতিটি সভা থেকেই তিনি মূলত তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন কারোর নাম না করেই। 


অপরদিকে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা আরও জোরালো হচ্ছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ও এবার দাবি করেছেন শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দু-চারদিনের মধ্যেই শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেবেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি যেতে পারেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। এরপর ফিরে এসে নিজের গড় মেদিনীপুরেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। 


 

 

অপরদিকে এই সম্ভাবনা উস্কে রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সফরসূচিরও সামান্য পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিনি বনগাঁর পরিবর্তে অমিত শাহ মেদিনীপুরে সভা করতে পারেন বলেই জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে শীঘ্রই শুভেন্দুকে নিয়ে জোরালো ধাক্কা খেতে পারে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post