তাঁর বক্তৃতার জন্যই অপেক্ষা ছিল সবার। নতুন দলে যোগ দিয়ে কী বলেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাত থেকে গেরুয়া পতাকা নিয়ে শনিবার শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল তার লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে। বিজেপি পৃথিবীর সব থেকে বড় দল, গীতার নীতি বিশ্বাস করে। গত ৬ বছরে অমিত শাহ যা বলেছেন, পূরণ করেছেন। আত্মসম্মানবোধ আছে বলেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
তাঁর আক্ষেপ, তাঁর যখন করোনা হয়েছিল তৃণমূলের কেউ খোঁজ নেয়নি। অমিত শাহ দুবার খোঁজ নিয়েছিলেন। তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, তৃণমূল কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করেনি। বঞ্চিক বাংলার যুবকরা। ফের বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, আমরা আগে ভারতীয়। আগামী নির্বাচনে বাংলাকে বাঁচাতেই বিজেপির সরকার গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।
সভায় বক্তৃতার আগে একটি খোলা চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, এবার নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নতুন রাস্তা ঠিক করে নিতে হবে। বাম সরকারের সঙ্গে যখন লড়াই ছিল তখন একটাই লক্ষ্য ছিল, সরকারে জনবিরোধী ও গরিব বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে মানুষের পাশে থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সে সময় ব্যক্তিগত কারও বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন ছিল না। বরং কয়েকজন মানুষের নীতির বিরুদ্ধে যার ফলে এলাকার গরিব মানুষ দুর্দশা চরমে পৌঁছেছিল। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাম সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম।
চিঠিতে তাঁর বক্তব্য, দশ বছর পেরিয়ে গেলেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। বলা ভালো অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। কিন্তু সরকারি পরিকাঠামো শুধরে নিয়ে রাজ্যের সমস্যার সামধান করা যেত। কিন্তু তা হয়নি। যে দলটার জন্য কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়াই করেছিলাম তা ভেতরে ভেতরে পচন ধরছে। এটাই সেই সময় যখন বিকল্প কিছু বেছে নিতে হবে। যে দায়িত্ব তৃণমূলের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল জনগণ তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback