অমিল বেড, সঙ্কটাপন্ন রোগীকে ফেরাল একের পর এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল


শয্যা না থাকার যুক্তিতে সঙ্কটাপন্ন রোগীকে ফেরাল একের পর এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে কলকাতার পিজি ও এনআরএস, একের পর এক হাসপাতাল ঘুরেও রোগীকে ভর্তি না করতে পেরে অবশেষে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল মেদিনীপুরেই। তবে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি জেলা স্বাস্থ্যদফতরের কর্তারা। শুক্রবার বিকেলে থেকে শনিবার পর্যন্ত দিনভর রেফার যন্ত্রণায় নাকাল হতে হল রোগীর পরিবারকে।




পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে পিকনিক সেরে ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন মেদিনীপুর শহরের কোতবাজার এলাকার বাসিন্দা বছর ২৭-এর রাহুল মল্লিক। মাথায় আঘাত থাকায় তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখেই রোগীকে তড়িঘড়ি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেইমতো রাতেই সঙ্কটজনক রোগীকে নিয়ে পরিজনেরা প্রথমে যান এসএসকেএম হাসপাতালে।


আত্মীয়দের অভিযোগ, রোগীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্কটজনক অবস্থা দেখেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। শেষপর্যন্ত রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকেও কার্যত হতাশ হয়েই ফিরতে হয় রোগীর পরিজনদের। কোনওভাবেই হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা না হওয়ায় রাতেই রোগীকে মেদিনীপুরে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।




দীর্ঘদিন ধরেই রেফার যন্ত্রণা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। শনিবার রাতের ঘটনা এই তালিকার নয়া সংযোজন। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে যখন মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছেন তখন এই রকম ঘটনায় বাস্তব পরিস্থিতি দেখে কার্যত শিউরে ওঠছেন রাজ্যবাসী। স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে গোটা বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন রোগীর পরিজন। তবে এবিষয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্যদফতরের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post