তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যাওয়া ৪৩ নেতাকে সংবর্ধনার আগে তুমুল গোলমাল দলের হেস্টিংস অফিসের সামনে। দলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি অফিসের কাছেই তৃণমূল কর্মীরা মঞ্চ বেঁধে সভা করছিলেন। সুনীলবাবুর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীরা সাংসদের গাড়ি বের করার চেষ্টা করতেই পুলিশের সামনেই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে কোনওরকমে তাঁকে অফিসে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। পাল্টা জমায়েতও হয় বিজেপির কর্মীদের। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা কৃষি আইনের বিরোধিতা করছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।
এই সভায় শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্য দলত্যাগীরা ছাড়াও রয়েছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, তথাগত রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের মতো শীর্ষ নেতৃত্ব। বেশ কিছুটা পরে পৌঁছন শুভেন্দু। সভায় তিনি বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আত্মত্যাগের পথ ধরে দেশের স্বার্থেই তিনি দলের নির্দেশমতো কাজ করবেন। সোনার বাংলা গড়ার কাজ ধরবেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের সব প্রকল্প রাজনীতির জন্য তৃণমূল আটকে দিচ্ছে। তিনি তৃণমূল করতেন বলে লজ্জিত। কৈলাশ বলেন, বিজেপির বড়ো পরিবার সুখী পরিবার। রোজ বাড়ছে আমাদের পরিবার। সব নদীর ধারা বিজেপি সাগরে এসে মিশেছে। আমরা নতুন অনেক রাজ্যে ক্ষমতায় আসছি আমরা। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে আজ বিজেপি পতাকা উড়ছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback