ওয়ার্ক ফ্রম হোম

করোনা ভাইরাস অতিমারীর জেরে আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০২০ সাল মানুষ মনে রাখবে করোনা অতিমারীর জন্যই। এই বছর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহু নতুন জিনিস যেমন স্থায়ীভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে তেমনই নতুন নতুন ব্যাপারের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হল ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বিষয়টি। 

বিশ্বজুড়েই করোনার থাবায় লকডাউনে স্তব্ধ ছিল সবকিছুই। বন্ধ স্কুল, কলেজ, অফিস, কাছারি, শপিং মল, সিনেমা হল সবকিছুই। কিন্তু তা বলে সকলের ছুটি ছিল না, অত্যাবশ্যক বা জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কাজ করেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই। আবার যাদের অফিস না গিয়েও কাজ করার মতো পরিকাঠামো বা সুযোগ ছিল তাঁদের জন্য চালু হল ওয়ার্ক ফ্রম হোম। ২০২০ সালে এটাই হল নতুন দিগন্ত। কর্মক্ষেত্রে এটা কার্যত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হতে চলেছে বলেই ধারণা অর্থনীতিবিদদের। 

করোনা অতিমারী ঘোষণা হতেই বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। কেউ কেউ কাছে-পিঠের কর্মচারীদের বিশেষ ব্যবস্থায় কর্মস্থলে আনিয়েছে কিছু সংস্থা। তবে মার্চ-এপ্রিল মাসে যখন করোনার প্রভাব হু হু করে বাড়তে থাকে তখনই পুরোপুরি অফিস বা সদর দফতরগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করে দেয় বেশ কয়েকটি সংস্থা। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি পুরোদমে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে কর্মকাণ্ড বজায় রাখে। বড় বড় আইটি কোম্পানিগুলি তো ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। 

আবার ফেসবুক, টুইটার, গুগলের মতো সোশাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাগুলিও ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতেই চলছে। আর যারা এই পদ্ধতিতে কাজ করছেন তাঁদের অভিজ্ঞতাও দারুণ। বিছানায় বসে বা শুয়েই অফিসের কাজ। যদিও চিকিৎসকরা দাবি করছেন এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু নতুন এই ব্যবস্থা বেশ লাভদায়ক উভয়পক্ষের কাছেই। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post